সরকারের পদত্যাগ ছাড়া জনগণ রাজপথ ছাড়বে না: মঈন খান
সরকারের পদত্যাগ ছাড়া জনগণ রাজপথ ছাড়বে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
রোববার (১ অক্টোবর) ময়মনসিংহের বগার বাজারে রোডমার্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, ‘আজকে আমরা রাজপথে নেমেছি। আপনারা এই প্রত্যয় নিন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। পাশাপাশি যতক্ষণ পর্যন্ত না এই জনপ্রতিনিধিবিহীন সরকার দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে, সেই সরকার যতক্ষণ না পদত্যাগপত্র জমা না দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত এক বছর যাবত আপনারা দেখেছেন যে, আমরা কোটি কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করে রাজপথে সমাবেশ করেছি, মিছিল করেছি, মিটিং করেছি এবং এই সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ অনাস্থা দিয়েছে। কাজেই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার নেই। যত শিগগিরই তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে তত দেশের মঙ্গল হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোরদার হবে। কারণ মানুষ বাঁচতে চায়, এদেশের গরীব মানুষের আর বাঁচার উপায় নাই। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়তেছে, মানুষ জীবন বাঁচাতে পারবে না। কাজেই যদি বাঁচতে চান, যদি মর্যাদার সাথে জীবনযাপন করতে চান, নিজের ভোট নিজে দিতে চান, তাহলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী দিনে এই লড়াই হবে, এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে।”
সরকার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির ‘এক দফা’র দাবিতে এই রোডমার্চ হয়। সকাল সাড়ে ১১ টায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের বগার বাজার এই রোডমার্চ শুরু হয়। ময়মনসিংহ উত্তরসহ বেশকয়েকটি স্থানে পথসভা এবং শেষে কিশোরগঞ্জের লতিফাবাদ চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে সমাবেশের মাধ্যমে রোডমার্চ শেষ হবে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কোষাধ্যক্ষ, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগ, ২৩ মার্চ বরিশাল বিভাগ, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে বিএনপির রোডমার্চ হয়। এটি তাদের চতুর্থ রোডমার্চ।