শারদা হলে সংস্কৃতিকর্মীদের ওপর হামলা: সিলেট বিএনপির দুঃখ প্রকাশ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নগরীর শারদা স্মৃতি ভবনের হলরুমে বিএনপির মিছিল থেকে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে সিলেট বিএনপি।

বুধবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টায় পর্যন্ত নগরীর ক্বীনব্রিজ সংলগ্ন শারদা হলে সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে এক বৈঠকে সিলেট বিএনপি নেতৃবৃন্দ দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় বিএনপির প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ। সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদসহ ২০ জনের একটি দল।

বৈঠকে শেষে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা অবশ্যই দোষী। বিএনপি কখনো এরকম ঘটনা সমর্থন করে না। সিলেট বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা চাই যারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তারা শাস্তি পাক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে বৈঠক করে যাতে এই ঘটনাটি সামাজিকভাবে সমাধান করা যায় তা আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি বিগত দিনের মতো আন্তরিক পরিবেশ রক্ষা করে একটি সুন্দর সামাধানে পৌঁছাতে পারব।  

এব্যাপারে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত বলেন, সিলেটের রাজনীতিবীদের আমরা সম্মান করি। বিএনপির পক্ষ থেকে যারা আজ এসেছিলেন তারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই আমাদের সাথে যোগাযোগ করে আজ বৈঠকে বসেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। আমরা তাদের দুঃখ প্রকাশকে স্বাগত জানাই।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে নগরের কিনব্রিজ এলাকার সারদা হলে বিএনপির রোডমার্চ ও সমাবেশে যোগ দিতে আসা কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে। হামলায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্তসহ অন্তত ১০ জন সংস্কৃতিকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার দুদিন পর রজতকান্তি গুপ্ত বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর ২৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ও সিলাম টিলা পাড়া এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে মোঃ হারুন মিয়া এবং ২৯ সেপ্টেম্বর সালেহ আহমদ ওরফে আবু ছালেহকে মোগলাবাজার থানা পুলিশ আটক করে।