রোডমার্চ শেষ, ঢাকায় এবার মহাসমাবেশ: ফখরুল
-
-
|
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরী নেভাল এভিনিউস্থ তিন রাস্তার মোড়ে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী রোড মার্চ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে আমরা নতুন কর্মসূচি চট্টগ্রাম থেকে ঘোষণা করছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভালোয় ভালোয় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বন্দুকের জোরে টিকে আছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চট্টগ্রামে আজ জনবিস্ফোরণ ঘটেছে। সব মানুষ আজ রাস্তায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে বন্দুকের জোরে। ওরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। সব মানুষের মুখে এখন একটাই স্লোগান, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি। ওই বার্তা আমরা নিয়ে এসেছি। অনেক কথা হয়েছে। রোডমার্চ, সমাবেশ হয়েছে। এটাই শেষ রোডমার্চ। এরপর আর রোডমার্চ হবে না। সব হবে ঢাকায়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি অনেক মানুষ খুন করেছেন। রক্তে হাত রঞ্জিত করেছেন, আমাদের অনেক ভাইকে হত্যা করেছেন, স্ত্রীকে স্বামীহারা করেছেন, সন্তানকে পিতৃহারা করেছেন। আমরা আর এসব করতে দেব না। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব, অন্যায় হুকুমের মধ্যে কোনো গুলি করবেন না, কোনো নির্যাতন, কোনো মিথ্যা মামলা করবেন না।
খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, মানুষ আজ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশের জনগণ আজ চায় শান্তিপূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হস্তান্তর করুক। আপনার অধীনে আর নির্বাচন আমরা চাই না। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এখন সময়ের দাবি। মানুষ তার ভোট দিয়ে পার্লামেন্ট নির্বাচন করবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ হত্যার রাজনীতি আমরা দেখতে চাই না। আমরা শুধু এ মাস দেখব। সামনে দুর্গাপূজা, কঠোর আন্দোলনে আমরা যেতে চাই না। আগামী ৮ অক্টোবর থেকে আমরা নতুন কমর্সূচি চট্টগ্রাম থেকে ঘোষণা করছি। এর মধ্যে আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভালোয় ভালোয় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। যদি কোনো অশান্তি, কোনো হয়রানি বা মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয় তা বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না। আঘাতের জবাবে প্রত্যাঘাত করা হবে। প্রতিরোধ করা হবে। এ হবে এ মুহুর্তের বিজয়ের সূচনা। তাদের পতন অবশ্যই হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
