তলে তলে আসলে কিছুই হয় নাই: ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তলে তলে আসলে কিছুই হয় নাই, এই কারণই আওয়ামী লীগ বারবার এই কথাটা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক গোটা বিশ্ব আজকে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য পরিস্কার করে বলছে। পাশাপাশি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে বলছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিবএ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, সকল নেতারা শুধু সংহতি প্রকাশ করেননি। তারা প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে এবং এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় না করে তারা কেউ বিশ্রাম করবেন না। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। এটাকে সরকার বলা যায় না। এরা শাসক। তারা ঘোষণা দেয় বিএনপি আমাদের শত্রু। অর্থাৎ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র বিশ্বাস করলে কোনো রাজনৈতিক দলকে তারা শত্রু বলতে পারে না।

বেগম খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তি একইসূত্রে গাঁথা উল্রেখ করে তিনি বলেন, এজন্য সামনের দিনগুলোতে আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সামনে পূজা আছে। এই পূজার মধ্যে আমরা সব সময়য়ই বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ অসাস্প্রদায়িক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই না, সেই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তারা আবার সেই সমস্যা তৈরি করুক। ইতিমধ্যে করেছে। গতকাল কুমিল্লাতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। তারপরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়েছে। অনেকে আহত হয়েছে। তাই আমরা অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়েছি। এখন আমাদের সামনে লক্ষ্যে একটাই। আজকে আমাদের দেশ, অর্থনীতি এবং মানুষকে বাঁচাতে হলে ও বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক কর্মীদের বাঁচাতে হলে আন্দোলনের মাধ্যমে এদেরকে (সরকার) পরাজিত করা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনশনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, জয়নুল আবেদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।