গণতন্ত্র না থাকায় দেশে এখন পুলিশতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: গয়েশ্বর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপির ২৮ তারিখের সমাবেশে পুলিশের অনুমতির প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘রাজনৈতিক ফয়সালা হবে রাজনৈতিক দল, সরকার, সরকারের রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। সেটা বাকযুদ্ধের মধ্য দিয়েই হোক আর যেভাবেই হোক, সেটা হবে। কিন্তু সরকার সিদ্ধান্ত দেবে না, পুলিশ সিদ্ধান্ত দেবে। সুতরাং, গণতন্ত্র না থাকায় পুলিশতন্ত্র একটু বেশিই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।’

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে গণ অধিকার পরিষদের ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

গয়েশ্বর বলেন, ‘এই সরকারের কথা, যেই লুটপাট করুক না কেন, তারা তো সবাই ভালো আছে। সবাইকে ভাগ দেয়। এজন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে কিছু সুবিধাভোগী তৈরি করতে পেরেছেন। সেই সুবিধাভোগীরাই ভাবছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে গেলে তার যতটা না ক্ষতি হবে, তার থেকে বেশি ক্ষতি হবে তাদের (সুবিধাভোগী)। এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে হবে।’

বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশে হিন্দুদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ৮০ শতাংশের উপরে আওয়ামী লীগের দখল রয়েছে। সংসদে যারা এমপি, মন্ত্রী আছেন, তাদের শতকরা ৮০ জনের বাড়ি হিন্দু বাড়ি। অর্থাৎ, হিন্দু বাড়ি দখল করে তারা বাড়ি করেছে। হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের জুড়ি নেই। এটা আমাদের জরিপ করা আছে। জরিপ থেকে বলছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় হিন্দু সম্প্রদায়। কোনো হিন্দু লোকের সঙ্গে যদি একা একা কথা বলেন, দেখবেন তাদের মধ্যে কত ক্ষোভ। তাহলে ভোট দেয় কেন? কারণ জামায়াতে ভোট না দিলে জামায়াত তার বাড়িঘর পোড়ায় না, বিএনপিকে ভোট না দিলে, বিএনপি তার ঘরে আগুন দিতে যায় না। কিন্তু আওয়ামী লীগে ভোট না দিলে, তারা বাড়িতে গিয়ে আগুন দেয়।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ তখনই থাকে, যখন গণতন্ত্র থাকবে। গণতন্ত্র যেখানে থাকে না সেখানে মানুষ বেপরোয়া হয়ে যায়। ক্ষমতার পেছনে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন যখন পাহাড় সমান হয়ে যায়, তখন বারবার ক্ষমতায় থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা চেপে বসে। তখন তাদের থেকে বিদায় নেয় মনুষ্যত্ববোধ।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকার চেষ্টা করছে গাবতলীর মতো একটি গরুর হাট জমাতে। দর কষাকষির অফার, আসনের নিশ্চয়তা, সঙ্গে কাড়ি কাড়ি কাড়ি টাকা। আমার মনে হয় তারা গুছিয়ে উঠতে পারছেন না। কয়েকদিন আগে আমেরিকা সফরের সময় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নাকি কিছু কিছু জিনিস কেনার জন্য অনেক অনেক টাকা নিয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি কিনতে পারেননি। কিছু কিনতে না পেরে মাথা গরম করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অশ্রাব্য বক্তব্য দিচ্ছেন। মানুষ কখনো মানুষকে নিয়ে এমন বক্তব্য দিতে পারে না।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া,গণঅধিকার পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোজাম্মেল, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।