টাঙ্গাইল থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী বিএনপির মহাসমাবেশে!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শনিবার ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে টাঙ্গাইল থেকে দলের নেতা-কর্মীরা চলে গেছেন। দলের নেতারা জানিয়েছেন, টাঙ্গাইল থেকে এই কর্মসূচিতে প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেবেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলের মধ্যে ৩-৪ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছেন গিয়েছেন। এ ছাড়া অনেক কর্মী বিভিন্ন কৌশলে পৌঁছে গেছেন ঢাকায়। কেউ দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, প্রাইভেটকার ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সমাবেশ যাচ্ছেন। শুক্রবারের মধ্যে অন্যরা ঢাকায় পৌঁছাবেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১০জন বিএনপি'র নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাঁধার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছি। আমরা প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশ যাব। আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের গাড়ি আটকে রাখতে পারেন। যেভাবেই হোক আমরা সমাবেশে পৌঁছাবে। আজ থেকেই আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনার পতন ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরবে।’

মহাসমাবেশ সামনে রেখে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ করে দেওয়াসহ সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা এড়াতে আগেভাগেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, মহাসমাবেশ কর্মসূচির এক সপ্তাহ আগে থেকে সরকারি দল যে যুদ্ধ প্রস্তুতি দেখাচ্ছে, এর উদ্দেশ্য ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে লোকসমাগম কমানো। একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর চূড়ান্ত আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া, যাতে নির্বাচনের আগে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ না পায় বিএনপি।

নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে এবার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় ঢুকতে শুরু করেছেন কয়েক দিন আগে থেকেই। পুলিশি হয়রানির ভয়ে নানা কৌশলে বিভিন্ন যানবাহনে এবং বিভিন্ন রুটে তারা ঢাকায় ঢুকেছেন।

তাদের অভিযোগ, সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের তল্লাশিচৌকি বসিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশের সদস্যরা।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ বলেন, এ পর্যন্ত কারাগারে ১০ জনকে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কালিহাতীতে ১ জন, দেলদুয়ারে ২জন, মধুপুরে ২জন, ধনবাড়ীতে ২জন, নাগরপুর উপজেলার ২ জন ও বাসাইল উপজেলায় ১জন রয়েছেন। তাদেরকে গত বছরের নাশকতার মামলায় আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, ‘দেশে যেন কোনো প্রকার নাশকতা না করতে পারে সে জন্য কালিহাতী উপজেলার ময়মনসিংহ রোডে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।’ 

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘২৮ তারিখের সভাকে কেন্দ্র করে কোন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ডাকাতি বন্ধে পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম অংশ হিসেবে মধুপুরে, এলেঙ্গা, গোড়াই, হামিদপুরে ৪টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে প্রতিদিনের ন্যায় নিয়মিত তল্লাশি করা হচ্ছে।’