কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদকসহ ৪ জন গ্রেফতার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথমদিনে কুষ্টিয়া থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে চরমে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দূরপাল্লার পরিবহণ বন্ধ থাকায় কিছুটা বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অধিক ভাড়া দিয়ে সিএনজি বা অন্যান্য পরিবহনে উপজেলা শহরগুলোতে যাতায়াত করতে দেখা গেছে অফিসগামী লোকজনসহ সাধারণ যাত্রীদের।

বিজ্ঞাপন

এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, আলহাজ রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি মেজবাউর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের আলফামোড় এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনকে একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যান জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বিজ্ঞাপন

একই সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি মেজবাউর রহমানকে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে আটক করে নিয়ে যায় সদর মডেল থানার পুলিশ। এছাড়াও দৌলতপুর থেকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, আলহাজ্ব রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লাকে আটক করে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন ও মেজবাউর রহমানকে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে নাশকতার প্রস্তুতিকালে হাত বোমা, লোহার রড লাঠিসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এই দুই নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলাও রয়েছে। তবে কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে জানতে চাইলে পারে জানানো হবে বলে জানান ওসি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আবদুল আলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাদাপোশাকধারী দু-তিনজন পুলিশ সদস্য এসে খোঁজখবর নেন। এরপর ওপরে উঠে সাহেবের কক্ষে যান। স্যারকে জানালে স্যার বেরিয়ে আসেন। ওই সময় ডিবি সদস্যরা রুম এবং পুরো বাড়ি তল্লাশি চালান।’

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা সোহরাব উদ্দিনকে বাড়ি থেকে বের করে একটি মাইক্রোবাসে করে কুষ্টিয়া শহরে পুলিশ লাইনসের দিকে নিয়ে যান।