ফখরুলসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে সুইডেন বিএনপির সমাবেশ
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অবৈধ তফসিল বাতিলের দাবিতে দেশবাসীকে আহুত রোববার (১৯ নভেম্বর) ও সোমবার (২০ নভেম্বর) ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালনের আহবান জানিয়েছেন সুইডেন বিএনপির সিনিয়র নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু, এমদাদ হোসেন কচি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আবেদীন মোহন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী স্টোকহোমে সুইডেন বিএনপির এক সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আবেদীন মোহন বলেন, ভোট চোরের বিরুদ্ধে বিএনপির হরতাল চলছে এবং চলবে। নতুন তফসিলের মাধ্যমে দেশে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন দিতে হবে। না হলে বিক্ষুব্ধ এই জনতা ঘরে ফিরে যাবে না। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোও বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। কিন্তু বর্তমান সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে সব মহলের দাবিকে অগ্রাহ্য করে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
সুইডেন বিএনপি মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু বলেন, আসুন আগামীকাল ১৯ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর হরতাল পালন করে এই সরকারকে জানিয়ে দেই জনগণের দাবি মানতে হবে। এই একতরফার নির্বাচন জনগণ মানে না। জনধিকৃত ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই অবিলম্বে এই তফসিল বাতিল করতে হবে। অন্যথায় হরতালসহ দেশে গণআন্দোলনের মাধ্যমে ঘোষিত এই একতরফা তফসিল বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদ হোসেন কচি বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে একতরফা নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। তারা আওয়ামী লীগের কথার প্রতিধ্বনি করে সাংবিধানিক পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে। এমন নির্বাচন কমিশন দিয়ে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না।
সভায় উপস্থিত সুইডেন বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলধারার বিরোধীদল ও দেশের অধিকাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনে আগ্রহী নয় জেনেও এ আজ্ঞাবহ দলকানা কমিশন তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা নিজেদেরকে দলীয় দাসে পরিণত করেছে। বিরোধী দলগুলোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন:প্রতিষ্ঠা ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে মানুষের জনসমর্থন দেখে তারা ভীত হয়ে পড়েছে। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ এ অবস্থায় ঘরে বসে থাকতে পারে না।