‘একতরফা নির্বাচন হলে সরকার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়বে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিছিল

মিছিল

তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত দলীয় সরকারের অধীনে ফেরেশতা দিয়েও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সেটা ১৪ ,১৮ তে প্রমাণিত। ১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলো এটা সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুতই নতুন নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু আর নির্বাচন হয়নি। ১৮ সালে সব দলকে গণভবনে ডেকে নিয়ে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলো আমি শেখ মুজিবের কন্যা, আমার ওপর আস্থা রাখেন। আমি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেবো। সেই কথাও তিনি রাখেননি। তিনি রেখেছেন ভারতের কথা। ভারতের কথায় দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে গণতন্ত্র ধ্বংস করে ৭৫ এর মতো একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে ১৪, ১৮ তে একতরফা নির্বাচন করেছে।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ দেশের মানুষ ৭৫ এ যেমন বাকশাল মেনে নেয়নি, একতরফা নির্বাচনও মেনে নিবে না। আমাদের উন্নয়ন সহযোগী বন্ধুরাষ্ট্র ,সংস্থাগুলো বার বার সরকারকে গণতন্ত্র ,মানবাধিকার, শ্রম অধিকার সুরক্ষা দিতে সরকারকে সতর্ক করছে। একতরফা নির্বাচন হলে সরকার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়বে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বলবো আপনি একতরফা নির্বাচন করে দেশকে ব্যর্থ ও পঙ্গু রাষ্ট্র পরিণত করবেন না।আওয়ামী লীগ আজকে আবহমান বাংলার সম্প্রীতির মেলবন্ধনটুকুও নষ্ট করছে। গ্রামে গ্রামে একাত্তরের রাজাকার, আলবদরদের মতো আওয়ামী লীগ পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করাতে বিএনপি, বিরোধী নেতাদের বাসা বাড়ি চিনিয়ে দিচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। গতকাল গুলিস্তানে সারাদিন রাস্তা বন্ধ রেখে প্রধানমন্ত্রী নমিনেশন ফরমের উদ্বোধন করেছে। কিন্তু গতকাল সারাদিন ও আজকেও বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে পুলিশ সশস্ত্র পাহারায়। অথচ আওয়ামী লীগ আমোদ ফূর্তি করে আজও রাস্তা অবরোধ করে নমিনেশন ফরম বিতরণ করছে। আওয়ামী লীগ রাস্তা সারাদিন বন্ধ রাখলেও পুলিশ প্রশাসন কিছু বলে না, অথচ আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করলেও সেখানে পুলিশের বাধা। এই হলো পুলিশের গণতান্ত্রিক আচরণ।

তিনি বলেন, শনিবার প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১০-১৫ বছর পর বিএনপি জামায়াত থাকবে না। দেশ স্বাধীনের পর যেমনিভাবে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিলো। আজকেও তারা এভাবে বাকশাল কায়েম করতে সকল রাজপথের দল ভ্যানিস করার চক্রান্তে নেমেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের অফার দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনে না গেলে জেলে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এভাবে হুমকি দিয়ে, জেলে দিয়ে আন্দোলন থামানো যাবেনা।

তিনি আরও বলেন, জিএম কাদের নির্বাচনের নিশ্চয়তা না দেওয়ায় জাতীয় পার্টিকে নিয়ে সরকার নতুন খেলায় মেতেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি এসে যে, কার সাইনে জাতীয় জাতীয় পার্টির নমিনেশন দেওয়া হবে, রওশন এরশাদ নাকি জিএম কাদের? এভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে কব্জা করতে সরকার নানা খেলা খেলছে। এইবার আর কোন খেলায় কাজ হবে না। আমেরিকা নতুন শ্রমনীতি তৈরি করেছে। আগামীতে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। সমঝোতার মাধ্যমে পদত্যাগ, তফসিল বাতিল ও নিরপেক্ষ সরকার অধীনে নির্বাচন না দিলে সরকারের কারও আমেরিকা ইউরোপে ঢোকার সুযোগ থাকবেনা।