ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনয়ন নিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর-উস সাদিক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর-উস সাদিক। রোববার (১৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের মনোয়ন প্রত্যাশীরা মনোয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করেন।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে নেতৃত্বে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর-উস সাদিক চৌধুরী। স্মার্ট ও আধুনিক ঠাকুরগাঁও বিনির্মাণে তিনি ২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে এক জনসভায় ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এছাড়া তিনি 'বদলে যাও ঠাকুরগাঁও' রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন থেকে জনগনকে সচেতন করে এলাকার উন্নয়নে সম্পৃক্ত করে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক সুপ্রীম কোর্ট আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট দুলাল চৌধুরী ঠাকুরগাঁও মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালের উপ-নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করেন। এ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে চার হাজার ভোটে হেরে যান। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর আহ্বানে তিনি আবার দলে ফিরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় বড় প্রকল্প মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকেও অনেক কিছু দিতে চান। কিন্তু আমরা আমাদের প্রয়োজন সংসদে উপস্থাপন করতে পারিনি। এর ফলে এ অঞ্চল অনেক পিছিয়ে। চিকিৎসাসেবার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ওপর নির্ভর করতে হয়। কৃষিনির্ভর এ অঞ্চলের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে ঠাকুরগাঁও একটি কৃষিভিত্তিক ইপিজেড অতি জরুরি। কিন্তু এসব প্রধানমন্ত্রীর নজরে না আসায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষিত মেধাবী নেতৃত্ব প্রয়োজন উল্লেখ করে ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় উন্নয়নকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট ঠাকুরগাঁও গড়তে চাই। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা ধারাবাহিকভাবে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছি। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেলে আমার বিশ্বাস জাতীয় সংসদের ৩ নম্বর আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব বলে আশা করি।’

ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনের মধ্যে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে টানা তিনবার ও চারবারের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে টানা সাতবারের সংসদ সদস্য আলহাজ দবিরুল ইসলাম (বীর মুক্তিযোদ্ধা), ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে তিনবারের জাতীয় পার্টি থেকে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এবারে ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনেই ডজনখানেক তরুণ আওয়ামী লীগের নেতা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তরুণ প্রার্থীরা। করছেন উঠান বৈঠক।