বিএনপি কার্যালয় বন্ধ থাকলেও নিয়মিত আসছে পত্রিকা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

মহাসমাবেশে গত ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষের পর থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। গ্রেফতার এড়াতে কার্যালয়টিতে ঘেঁষছেন না নেতাকর্মীরাও।তবে বন্ধ কার্যালয়ে নিয়মিত আসছে দৈনিক পত্রিকা। কেচি গেটের ফাঁকা অংশ দিয়েই পত্রিকাগুলো রেখে যাচ্ছেন হকাররা।

সরেজমিনে সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে দেখা গেছে বণিক বার্তা, সময়ের কণ্ঠস্বরসহ গত দিনের বেশকিছু পত্রিকা রাখা হয়েছে ইসির চিঠি রেখে যাওয়া সেই চেয়ারে।

বিজ্ঞাপন

আজকের তারিখে পত্রিকাগুলোর উজ্জ্বলভাব থাকলেও গত দিনের পত্রিকাগুলোর বর্ণের পরিবর্তন এসেছে ধুলোবালিতে। তবে দীর্ঘদিন কার্যালয় বন্ধ থাকায় বেশ কিছু দিন কোন পত্রিকা আসেনি এই কার্যালয়ে। কিন্তু হঠাৎ আবার কেন পত্রিকা আসছে এটাই ভাবছে অনেকে। তাহলে কি কার্যালয়ে আবারও দলীয় কার্যক্রম শুরু করবে বিএনপি?

দলের শীর্ষ নেতারা জেলে এবং বাকি নেতারা গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দেওয়ায় এ প্রশ্নের কোন জবাব পায়নি বার্তা২৪.কম। তবে কার্যালয়টিতে এখনো পুলিশের শক্ত অবস্থান থাকায় সেখানে কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি সম্ভব না বলছেন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, পুলিশ বলেছিলো আমাদের কার্যালয়ে আমরা কাজ করতে পারব। সে লক্ষে আমরা কয়েকজন নেতা কর্মীদের সেখানে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। এখন বলেন বিএনপি নেতা জানলেই গ্রেফতার করা হলে কার্যালয়ে কাজ কিভাবে চালাবো। সেখানে তো রাতদিন পুলিশ। আমাদের নেতৃত্ব শূন্য করতেই এই প্রচেষ্টা তাদের। দয়া করে আমার নাম প্রকাশ করবেন না পত্রিকায়। আপনি জানতে চাইলেন তাই জানালাম।

ছাত্রদলের ওই নেতা ছাড়াও দলটির একাধিক নেতা এমন দাবি করেছেন।

তবে এ বিষয়ে ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান জানান, সারা বছরই বিএনপি কার্যালয় এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা থাকে। সেই নিরাপত্তার অংশ হিসেবেই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে বিএনপি কার্যালয়ে কড়া নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। এছাড়া ওই সংঘর্ষের পর থেকেই টানা হরতাল অবরোধ পালন করছে বিএনপি ৷ চলছে দলটির দেওয়া সপ্তম দফার অবরোধ।