দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা রাঙার
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে বহিষ্কৃত নেতা রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙা এবার দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন না বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অনেকটাই নিশ্চিত।
কিন্তু তিনি এখন কি করবেন তা নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। অনেকে আবার দলীয় প্রার্থী হওয়ার আশা ছাড়েননি। সবমিলে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের জাতীয় পার্টির সমর্থকরা রাঙাকে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন।
তবে রওশন এরশাদ রাঙাসহ ১২ জনের মনোনয়ন চেয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানাগেছে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না! এতে ধারণা করা হচ্ছে, তিনবারের এমপি রাঙার আমছালা দুই-ই গেল।
এদিকে রংপুর-১ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন জি এম কাদেরের ভাতিজা ও সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার (আসিফ)। আর রাঙা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠরা।
এর আগে, গঙ্গাচড়ায় প্রচার হয়, রওশনপন্থি হিসেবেই লাঙল প্রতীকে প্রার্থী হবেন দল থেকে বহিষ্কৃত মসিউর রহমান রাঙা। কিন্তু গত শনিবার রওশন এরশাদ যে তিনজনের জন্য মনোনয়ন ফরম চেয়েছেন তাদের মধ্যে রাঙার নাম নেই। জাপার একটি সূত্র জানায়, রওশন এরশাদ তিনটি মনোনয়ন ফরম চেয়েছেন তার নিজের জন্য, আরেকটি তার ছেলে সাদ এরশাদের জন্য এবং অন্যটি ময়মনসিংহের জাপার নেতা ডা. কে আর ইসলামের জন্য। কিন্তু সর্বশেষ বৈঠকে রওশন এরশাদ যে ১২টি আসন জিএম কাদেরের কাছে চেয়েছেন তার মধ্যে রাঙার নাম আছে।
গঙ্গাচড়ায় রাঙার অনুসারীরা বেশ হতাশ। তারা বলছেন, জাতীয় পার্টির দখলে থাকা এই আসনে লাঙল প্রতীকই বড় কথা। অন্য প্রতীকে প্রার্থী হয়ে এখানে জয়ী হওয়া কঠিন। রাঙার জন্য এটি কঠিন পরিস্থিতি বলে মনে করছেন কেউ কেউ। গত বছর রওশন-কাদের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পক্ষ নেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙা। এর জের ধরে গত বছরের ১8 সেপ্টেম্বর তাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এরপর রওশনপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিতি পান রাঙা কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই কূল (রওশন ও জিএম কাদের) হারিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মসিউর রহমান রাঙা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দলীয় মনোনয়ন জমা না দিলেও চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম আসবে। আর যদি না আসে তা হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদের যেমন দলীয় মনোনয়ন নিতে হয় না, তেমনি আমি দুই বারের মহাসচিব ছিলাম আমারও লাগবে না।