রওশন এরশাদের জন্য ময়মনসিংহ-৪ শূন্য রাখল জাপা
রওশন এরশাদ এমপির ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনসহ ১১টি আসন শূন্য রেখে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলীয় মনোনয়ন ফরম না নেওয়া ওনার প্রতি সম্মান করে আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
রওশন এরশাদের পিতার বাড়ি ময়মনসিংহ সদর। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ওই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসেন রওশন এরশাদ। এবার এখনও দেবর-ভাবির মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। রওশন এরশাদকে মনোনয়ন দিতে রাজি হলেও তার অনুসারীদের না দেওয়ায় তিনি জাপার মনোনয়ন গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, রওশন এরশাদ প্রথমে আমাকে দুটি (তার ও সাদ এরশাদ) মনোনয়ন ফরমের কথা বলেছিলেন। পরে তিনটির কথা বলেন। আমি তাকে বলেছিলেন আপনি লোক পাঠিয়ে দিলে দিয়ে দেওয়া হবে। অথবা যদি বলেন আমি গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসতে পারি। তিনি আর কিছু জানাননি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি, আমাদের সঙ্গে কোন মানঅভিমান নেই। তবে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের একই পরিবারের তাদের মধ্যে কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই।
অপর ১০টি আসন ফাঁকা রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-তিনটি আসনে আমাদের কোন মনোনয়ন প্রত্যাশী নেই। আর কিছু আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বোর্ড। সেগুলোতে একাধিক প্রার্থী রয়েছে, শিগগিরই সেখানে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
রওশন এরশাদের আসনের পাশাপাশি ফরিদপুর-২ ও ৪, গোপালগঞ্জ-৩, শরীয়তপুর-১, সুনামগঞ্জ ২ ও ৩, মৌলভীবাজার-৪, হবিগঞ্জ-২, লক্ষ্মীপুর-৪ এবং চট্টগ্রাম-১০ ও ১১ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা দেয়নি জাপা।
গত ২০ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিকট দলীয় ফরম বিতরণ করে জাতীয় পার্টি। মোট ১৭৫২ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করেন। ২৪-২৬ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়। মনোনয়ন ফরম বিতরণ শেষ হলেও রওশন এরশাদ, সাদ এরশাদসহ তাদের অনুসারীরা কেউই পার্টির মনোনয়ন ফরম তোলেন নি। অবশ্য আগেই রওশন অনুসারীদের মনোনয়ন ফরম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রাখেন জিএম কাদের।