নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখানো গেলেও কী সহিংসতা ঠেকানো যাবে?



নজরুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুয়ারে কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর মাত্র ৩৫ দিন পর আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে যেমন রয়েছে উৎসাহ উদ্দীপনা, তেমনি রয়েছে উৎকণ্ঠাও। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর এক দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা নির্বাচনে আসছে না।    

সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দু'ভাগে বিভক্ত, একপক্ষ আসন্ন নির্বাচনকে বর্জন করে নির্বাচনে না যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে অপর পক্ষ ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে। রাজনৈতিক দলের ন্যায় বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্ব মোড়লরাও দুইভাগে বিভক্ত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে। এরই মধ্যে গণতন্ত্রে বাধা দানকারীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে দেশটি। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কথা বলছেন অন্যান্য মিত্র দেশসমূহ।

ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী অপর শক্তিধর দেশ ভারতসহ চীন ও রাশিয়া। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের এমন তৎপরতাকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলছে চীন ও রাশিয়া। 

দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা। ফলে সে নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে আসে বিএনপিসহ বিরোধীরা। এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন বিএনপির অনেক প্রার্থী। ৭ আসনে জয় পেয়ে সংসদেও যায় বিএনপি। শেষ পর্যন্ত তারাও সংসদ থেকে বের হয়ে এসে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলন জোরদারের চেষ্টা করেন।

এমতাবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিসহ যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিবে তাদের জন্য অগ্রীম ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি দিচ্ছে পশ্চিমা দেশ সমূহ। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সরকারি দলের নেতারাসহ খোদ নির্বাচন কমিশনও চিন্তিত।

বিএনপি ও সমমনারা নির্বাচনে না আসায় তাদের ছাড়া কিভাবে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু দেখানো যায় তা ঠিক করেছে আওয়ামী নীতি নির্ধারকরা। এ জন্য বিএনপি থেকে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাদের স্বাগত জানিয়েছে দলটি। এর বাইরে অন্যান্য দলকেও কাছে টানছে সরকার। এছাড়া ভোটের দিন ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দলের মনোনয়নবঞ্চিতরা ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হলে বাধা দেওয়া হবে না-এমন ইঙ্গিত আসার পর জেলায় জেলায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতারা। এদের মধ্যে মনোনয়ন না পাওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য যেমন আছেন, তেমনি আছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতরা; অনেক আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একাধিক।

বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজের অনুসারীদের নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকার মনোনিত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যদিও তাদেরকে ডামি প্রার্থী বলা হচ্ছে কিন্তু তারা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগে দল, উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এসব বিরোধ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করে শাস্তির মুখে পড়েছে অনেকে। সে সময় শাস্তির ভয়ে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করেনি। এসব নির্বাচনে সারা দেশেই আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। 

এমতাবস্থায় বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। জেলা, উপজেলায় দলীয় শীর্ষ পদে থাকা নৌকা বঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে জেলা-উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও ছেড়েছেন। এতে অনুসারীদের নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন আসনের নেতারা।

যেহেতু দলীয় পদে থেকে ডামি প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে বাধা নেই, তেমনি দলীয় পদে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করতেও দল থেকে বাধা দেওয়া হবে না এমনটাই ভাবছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন আসনে ছাড় না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন নৌকাবঞ্চিতরা।

ইসি জানায়, দ্বাদশ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে ৩০ টি নিবন্ধিত দলের ১৯৬৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছে। এছাড়া অধিকাংশ আসনে মোট স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে ৭৪৭ জন। এদের মধ্যে বর্তমান জেলা-উপজেলা ৫৪ জন চেয়ারম্যান নৌকার বিপক্ষে ভোটে লড়বেন বলে জানা গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ডামি বলা হলেও মাঠ না ছাড়ার কথা বলছেন অনেকে।  

এমন পরিস্থিতিতে নিজ দলের মধ্যে সহবস্থান বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করাটাই মূখ্য বিষয়।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনে শুধু প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করলেই পুরো নির্বাচন ‍সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বলা যাবে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করেছিল সেটাকে কি গ্রহণযোগ্য বলা হয়েছিল? সেটাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। তারা নিজেদের পছন্দের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিয়ে নির্বাচন করবে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে তারা নিজেরা যেভাবে প্রার্থী হচ্ছে সেখানে একটা সংঘাতের সম্ভাবনা আছে। তবে এটা তাদের কৌশলের অংশ। দ্বন্দ্ব সংঘাত এড়ানোর জন্য তারা কি ব্যবস্থা রেখেছে এটা তারাই বলতে পারবে।

জামালপুর জেলার পাঁচ আসনের মধ্যে বর্তমান এমপিসহ আওয়ামী লীগের ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তবে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বলা হলে নমনীয় হওয়ার কথা জানিয়েছেন জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জিয়াউল হক জিয়া। তিনি বলেন, ডামি প্রার্থীর বিষয়টা আমি জানি। আমি সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তিনি।

নরসিংদী জেলার পাঁচ আসনের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

নরসিংদী সদর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরুর (বীর প্রতিক) পক্ষে বুধবার এক মতবিনিময় সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন বলেছেন, কোন স্বতন্ত্র মতন্ত্র চিনি না, মাইরের ওপর ঔষধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না। স্বতন্ত্ররে কেমনে পিডাইতে হয় তা জানা আছে। হেরে আমরা এমনেই পিডামু। সদরের কোন এলাকায় তাদেরকে জায়গা দেয়া যাবে না। তারা নৌকার বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, তারা দেশ বিরোধী।

পরে অবশ্য তার এই বক্তব্যের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র কামরুজ্জামান।

ফেনী জেলার তিন আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১২ জন। ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য রহিম উল্ল্যাহ বলেন, আমি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে সব সময় সুখে-দুঃখে এলাকাবাসীর পাশে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা দিয়েছেন ডামি প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হতে পারলে তিনি পুরস্কৃত করবেন। তিনি বলেই দিয়েছেন দলীয়ভাবে কোন চাপ আসবেনা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে কেউ চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবে, এতে দল থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। 

নীলফামারী-৩ আসনে গোলাম মোস্তফার বিপরীতে মনোনয়ন নিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সদস্যসচিব মো. রোকনুজ্জামান জুয়েল, জলঢাকা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হুকুম আলী ও জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শামীম।

গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী প্রয়াত রহমত আলীর কন্যা রুমানা আলী টুসির বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ। হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং অনুসারী নিয়ে গত বুধবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে ১৭ তারিখের মধ্যেই পরিষ্কার হবে। সুনির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যে কোন জায়গায় ইচ্ছামত দাঁড়িয়ে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে এটি পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। তিনি যে নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতাকর্মী সে নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলগতভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অ্যাকশনের ব্যাপারটা ভিন্ন। আমাদের কৌশলগত দিক আছে। আমাদের নেত্রীর বক্তব্য যেটা উনি গণভবনে দিয়েছিলেন, আমাদের প্রার্থীদের উদ্দেশে। সেখানে আমরা ঢালাওভাবে সবাই ইলেকশন করব বিষয়টা এমন না। দলীয় শৃঙ্খলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৭ তারিখের মধ্যে আমরা বিষয়টা নতুন করে দেখবো। অ্যাডজাস্টমেন্ট, অ্যাকুমুডেশন আমরা দলীয়ভাবে বিষয়টি দেখব।

বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানতে চেয়ে প্রশ্ন করলে কাদের বলেন, ‘আমরা মৃত্যুর তালিকা..পত্র-পত্রিকায় দু’শোর মতো বা দু’শো চেয়ে একটু বেশি। আমরা এটার খোঁজ খবর নিচ্ছি। অনেক জায়গায়.. জাহাঙ্গীরের (গাজীপুরের সাবেক মেয়র) সঙ্গে জুয়েল নামে একটি ছেলে সবসময় থাকত, তাকে উত্তরায় মেরে লাশ লটকিয়ে রাখা হয়েছে। কি বর্বর, নৃশংসতা। পুলিশকে মেরে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক নিরহ মানুষ মারা গেছে। জানালায় দিয়ে বাইরের দৃশ্যপট দেখতেছিল..বাচ্চা যখন তাকালো, সেই বাচ্চা গুলি খেয়ে মারা গেল। তারপরে এ ধরণের ঘটনা আরও অনেক ঘটেছে। রাস্তায় বেরিয়েছে, নিষ্পাপ, নির্বোধ শিশু, কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেও লাশ হয়ে পড়েছিল। এরকম ঘটনা অনেক আছে। এগুলো জামায়াত-শিবিরের তান্ডব। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সময়মতো সাংবাদিকেরাও নিচ্ছেন। সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’

আপনি বলেছেন অনেকেই রাস্তায় বের হয়ে, জানালা দিয়ে দেখার সময় গুলি খেয়ে মারা গেছে। মৃতদের বেশিরভাগই গানশর্টে মারা গেছে। তাহলে আপনি কি বলেছেন জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল। থাকলে সেই অস্ত্র কি উদ্ধার করা হয়েছে?  সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল। কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনো চলছে (উদ্ধার অভিযান)। উদ্ধার হবেই। এদের নির্দেশ দাতা ও হোতারা কিন্তু গ্রেপ্তার হয়েছে। রিমান্ডে আছে। অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে।’  

এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমরাতো রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করছি। প্রশাসনিকভাবে মোকাবিলা করছি। আপনাদেরও আমরা সহযোগিতা চায়। এ অপশক্তি সকলেরই শত্রু। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’

কাদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে যখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রে নৈরাজ্য-নাশকতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নির্দেশদাতা ও অর্থদাতাদের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। মির্জা ফখরুল..থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে। তখন তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছেন। তারা সবসময় জনগণের আস্থা না রেখে বিদেশী প্রভুদের উপর ভর করে রাজনীতি করে। এক্ষেত্রেও তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র উম্মোচিত হওয়া থেকে দায়মুক্তির জন্য বিদেশী হস্তক্ষেপের দাবি করছে।’

বিএনপি-জামায়াত-উগ্রবামপন্থী-জঙ্গিগোষ্ঠি কুচক্রি মহল এখনো সক্রিয় আছে বলে দাবি করে কাদের বলেন, ‘তাদের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে প্রস্তুত হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। তারা আবারও বিভিন্নভাবে হামলা চালাতে পারে। দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান যেখানে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের খোঁজ পাবেন, তাদের তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সহযোগিতা করবেন ।’

নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবির, জঙ্গিগোষ্ঠির সন্ত্রাসীরা আর যাতে সহিংসতা ছড়াতে না পারে সে জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’ এছাড়া নেতাকর্মীদের কারফিউ মেনে চলার অনুরোধ করেন কাদের।

;

অরাজকতা রুখতে মাঠে ছিলাম-আছি-থাকবো: লিটন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও যে কোনো অরাজকতা রুখতে আমরা মাঠে ছিলাম, এখনো আছি ও ভবিষ্যতেও থাকবো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বাদ জুম্মা রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদে আয়োজিত দোয়া ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগরীরের সকল মসজিদে এই দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় নিহত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমরা শুরু থেকে লক্ষ্য রাখছিলাম। আমাদের কাছে মনেই হচ্ছিলো, এটা হয়তো ভিন্নখাতে প্রবাহিত হবে এবং কয়েকদিন যেতে না যেতেই সেটা প্রমাণিত হতে শুরু করলো। তখন থেকে আমরা সতর্ক হয়ে যাই এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরে নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা রাজপথে থাকি। জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও যাতে কেউ অরাজকতা করতে না পারে সেজন্য আমরা মাঠে ছিলাম। আমরা এতে সফল হয়েছি। রাজশাহীর শান্তিপ্রিয় মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছেন, সাধুবাদ জানিয়েছেন।

মেয়র লিটন বলেন, বিছিন্নভাবে আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করা হয়নি; তা নয়, বিভিন্ন অলি-গলি থেকে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ছিলেন। আমরা মাঠে আছি, সেভাবে আমরা এ পর্যন্ত রাজশাহীকে নিরাপদ রেখেছি। জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কারফিউ উঠে হলে আরো স্বাভাবিক হবে।

এরআগে সাহেববাজার বড় মসজিদে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। জুম্মার নামাজ শেষে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান এবং সেখানে অবস্থান নেন।

কর্মসূচিতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাইমুল হুদা রানা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক এ্যাড. আসলাম সরকারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা সকল স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ইতিহাসে হতাহতের যে বর্বরোচিত নজীর স্থাপন করেছে তা দেশ-বিদেশের সকল স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার, কারান্তরীণ ও জুলুম-নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অবৈধ সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেফতার করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বরিশাল মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন সিকদার, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজকে গ্রেফতার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র গ্রেফতারকৃত সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন খোকনকে ৩ দিন পর আদালতে তোলা হয়েছে। অব্যাহত গতিতে দেশব্যাপী বিরোধী দলের নেতাকর্মী বাড়ি বাড়ি তল্লাশি হচ্ছে, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসাসহ অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দকে গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তিন/চার কিংবা পাঁচ দিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের নাগরিকদেরকে গুম করে রাখার ভয়াবহ সংস্কৃতি চালু রেখে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। সরকারকে এ ধরণের লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন দেশে সরকারের দায়িত্ব হলো-রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, গত কিছুদিন যাবত কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যখন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনরত তখন সেই মুহূর্তে সরকার প্রধানসহ সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা তাদেরকে তাচ্ছিল্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে নির্দেশ দেয় তাদেরকে নির্মূল করার। সরকারি দলের সন্ত্রাসী এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে জনগণের টাকার কেনা গুলি, টিয়ারসেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপের মাধ্যমে শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীকে গণহারে হত্যা এবং হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে আহত করেছে যা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী অবলক্ষণ করেছে।

নির্মম অত্যাচারে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ হতবাক ও ক্ষুদ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলও একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে এবং সারা দেশে কর্মসূচীও পালন করেছে। কিন্তু অবৈধ সরকার মরিয়া হয়ে রাষ্ট্রের সকল বাহিনীসহ দলীয় সন্ত্রাসীদেরকে সাধারণ মানুষ, বিএনপি নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ব্লক রেড দিয়ে গ্রেফতার করছে। এখন পর্যন্ত তাদের হিসাবে প্রায় ৩ হাজার গ্রেফতার করছে। যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার।

তিনি বলেন, ছাত্র জনতার ন্যায় সংগত আন্দোলনকে দমন করার জন্য সেনা বাহিনীকে ব্যবহার কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার এবং সেনা বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। বরাবরই আওয়ামী লীগ লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য গত কয়ক দিন যে পরিমাণ নিরীহ ছাত্র-মানুষকে গুলি চালিয়ে পাখির মতো হত্যা করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়।

গত কয়েকদিনে কতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে জনগণ তার সঠিক পরিসংখ্যান জানতে চায়। এছাড়া জনগণের টাকায় কেনা কি পরিমান গোলাবারুদ, টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে তার হিসাবও জনগণ জানতে চায়। রাষ্ট্রের টাকায় কেনা হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন কড়ায়-গন্ডায় আদায় করে নিবে।

সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ কারার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্মমভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই। তাই এই অবৈধ সরকারকে বলবো-অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।”

;

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ

খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অসহায় কর্মজীবী মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে বরগুনা জেলা পরিষদ ডাক বাংলো হলরুমে অসহায় কর্মজীবী মানুষের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রত্যয় দেব প্রান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাদুমনি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম সাগর। ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন রায়, মো. শাহরিয়ার শুভসহ জেলা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

খাদ্য সামগ্রী পেয়ে ফরহাদ জানান, দেশের বর্তমান অবস্থা তাতে রিকশা গাড়ি নিয়ে বের হতে পারি না। পরিবার নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছাত্রলীগ আমাকে সরকারের তরফ থেকে যতটুকু দিয়েছে আমি অনেক খুশি, কয়েকদিন পরিবার নিয়ে ভালো চলবে।

হলিমা খাতুন বলেন, আমার ম্বামী অনেক আগেই মারা গেছে। দুই সন্তান, আমি ডেইলি মানুষে বাসায় কাজ করে সংসার চলাই। কয়েক দিন ধরে কাজে যেতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রীর উপহারে কিছুদিন চলবে, দেশের পরিস্থিতি ভালো হলে আবার কাজে ফিরবো।

;