জিএম কাদেরের রহস্যজনক নীরবতার মাসপূর্তি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এক মাস ধরে রহস্যজনক নীরবতা পালন করছেন। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর এক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। তারপর থেকে রহস্যজনকভাবে আর মিডিয়ার সামনে আসছেন না তিনি।

তবে ১৪ নভেম্বর আইডিইবি ভবনে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে সেই সভায় মিডিয়ার প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। সে হিসেবে মুখবন্ধ রাখার এক মাস পূর্তি করলেন জিএম কাদের। এমনকি সাংবাদিকদের ফোনও এড়িয়ে চলছেন। যা তার ক্ষেত্রে অনেকটা ব্যতিক্রম। ফোন দিলে ধরতে না পারলে অনেক ক্ষেত্রে ফিরতি কল করা তার স্বভাবজাত অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন। সে সব ফোনও এখন এড়িয়ে চলছেন।

কেনো তার এই নীরবতা এমন প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, পার্টির মুখপাত্র হিসেবে আমি কথা বলছি। এসব কথা তার নির্দেশনা অনুযায়ী বলছি। কি বলতে হবে তার কাছ থেকে নির্দেশনা নিচ্ছি। পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি কি সব সময় কথা বলেন।

রাজধানীর বনানীস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তার উপস্থিতি নিত্যদিনের চিত্র হলেও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তার চলাফেরা বেশ রহস্যজনক। ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর টানা কয়েকদিন অনুপস্থিত থাকেন। উত্তরার বাসা এবং বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপের খবর আসে। নির্বাচন কমিশন তফসিল দিলে জাপা নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। তখন পার্টির মুখপাত্র চুন্নু নিয়মিত ব্রিফিং করতেন, তার বক্তব্যের সারাংশ থাকত, সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা পেলে, আর ভোটের পরিবেশ তৈরি হলে জাপা অংশ নেবে।

জাতীয় পার্টির ১৯ নভেম্বর দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর গুমোট পরিস্থিতির কিছুটা অবসান ঘটে। একটু একটু করে অফিসে আসা-যাওয়া শুরু করেন জিএম কাদের। তবে মিডিয়া এড়িয়ে চলছেন পুরো সময়। হঠাৎ অফিসে হাজির হন, আবার দ্রুত বের হন, কোথায় যান কেউ বলতে পারেন না। এমনও দিন দেখা গেছে দফায় দফায় আসা যাওয়া করছেন। তবে কোথায় যাচ্ছেন, কেনো যাচ্ছেন পার্টির লোকজনকেও জানানো হয়নি।

শুধু পার্টির চেয়ারম্যানই নয়, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা অনেকেই একই কৌশল নিয়েছেন। মহাসচিব নিয়মিত অফিসে হাজির হচ্ছেন মিডিয়া এলে কথা বলছেন, কখনও বেরিয়ে যাচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কখন ফিরে আসছেন তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই।

দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি এবং সাক্ষাতপর্ব পর্যন্ত বনানী চেয়ারম্যানের অফিস ছিল জমজমাট। ২৭ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করার পর এখন কিছুটা ফাঁকা হয়ে গেছে। প্রার্থীরা অনেকেই এলাকায় চলে যান মনোনয়নপত্র দাখিল করতে। সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, জিএম কাদের গণভবনে যাওয়ার খবর এবং আসন সমঝোতার খবর রটে যাওয়ায় বনানীতে আবার ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

কয়েকজন প্রার্থীকে সারাদিন আসা-যাওয়া করতে দেখা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে ময়মনসিংহ-৫ আসনের বর্তমান এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, কুমিল্লা-২ আসনের এমপি আমির হোসেন, জামালপুর-২ আসেন প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। তারা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার কখনও তাদের গাড়িতে করে বাইরে যাচ্ছেন। অফিসে ধর্না দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি। তিনি কখনও মহাসচিবের রুমে, কখন নিচের ওয়েটিং রুমে, কখনও উপরের প্রেস উইংয়ে উদাস হয়ে বসে থাকছেন। কখনও আবার রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে সময় কাটাচ্ছেন।

পার্টি সূত্র জানিয়েছে, অনেকেই মনে করছেন সরকারের সঙ্গে গোপন সমঝোতা হবে। সমঝোতার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ কিছু আসন ছেড়ে দেবে। যেখানে নৌকা মার্কা থাকবে না। আর নৌকা না থাকার অর্থ হচ্ছে নিশ্চিত বিজয়। প্রার্থীরা অনেকেই সমঝোতার তালিকায় নিজের নাম লেখাতে তৎপর। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। লবিং তদবির চালাচ্ছেন।

তবে সমঝোতার এই গুঞ্জনে আরেকটি গ্রুপ বেজায় চটেছেন। তারা সিনিয়র কাউকে পেলে নিজের ক্ষোভ ঝাড়ার চেষ্টা করছেন। বলার চেষ্টা করছেন, অনেকেই সমঝোতা করে এমপি হবেন, আমরা তাহলে কেনো নির্বাচন করবো।

প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন এমনি ক্ষুব্ধ একজন। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, অনেক এমপি আছেন যারা জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেননি। তাদের পোস্টারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করেন। ম্যাডামের (রওশন এরশাদ) আর্শিবাদ পেয়ে এমপি হয়েছেন। তাদেরকে যদি আবার এমপি বানানো হয়, তাহলে দল করে কি লাভ হলো, আর ভোটেই বা করবো কেনো। যদি সমঝোতা হয় তাহলে শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাবেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ১১ নভেম্বর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার কোনো আলাপের বিষয়ে আমার জানা নেই। রাজনীতিতে চূড়ান্ত বলে কিছু নেই, সময়ের প্রয়োজনে অনেক কিছু ঘটতে পারে। নির্বাচন করার জন্য এসেছি সরে আসার জন্য নয়। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি হলে যে কোন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। জাপা মহাসচিব উদ্ভূত পরিস্থিতির কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টি ২৯৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেন। দলীয় টিকেট পেলেও ৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। ছেলে সাদ এরশাদের আসন নিয়ে টান দেওয়া এবং অনুসারীদের মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়ায় ২৯ নভেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রওশন এরশাদ। নির্বাচন কমিশন বাছাই শেষে ২৭২ আসনে জাপার প্রার্থীদের বৈধ ঘোষণা করেছে।

দলীয় কোন্দলের পাশাপাশি সরকারের ওপর আস্থার সংকটে ভুগছে জাতীয় পার্টি। দলটির নেতারা মনে করেন ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ কোন নির্বাচনেই প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেনি আওয়ামী লীগ। নানাভাবে তাদের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। উপনির্বাচন, উপজেলা পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত কোথাও ছাড় দেওয়া হয়নি। অতীতে অনেক নির্বাচনে জাপার প্রার্থীদের জোর করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবারের প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করবে সে সম্পর্কে তাদের মনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যে কারণে জাতীয় পার্টি আগে ভাগেই নিশ্চিত হয়ে তারপর সিদ্ধান্ত দিতে চায়। তারা এমন কোন মাধ্যমে নিশ্চিত হতে চান যাতে, আওয়ামী লীগ আর প্রতিশ্রুতি ভাঙতে না পারে। সে কারণে অনেকেই ২০১৪ সালের সঙ্গে সাদৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন। ওই নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের পর হঠাৎ করে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। তবে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ৮৭ জন প্রার্থী মাঠে থেকে যায়। পরে জাতীয় পার্টি একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা ও বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করেন।

   

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাসায় ফিরছেন খালেদা

বাসায় ফিরছেন খালেদা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এর আগে গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। 

;

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;