আসন সমঝোতার আলোচনার কথা স্বীকার করলেন জাপা মহাসচিব

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

অবশেষে আসন সমঝোতার আলোচনার কথা স্বীকার করলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ঘুরিয়ে বললেন নির্বাচনী কৌশল হিসেবে আসনসহ অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন ।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে, গতকালও (১২ ডিসেম্বর) বসেছিলাম। যদি বিশ্বাস না করতো, তাহলে গতকাল বসতাম না। তাদের আচরণেতো এমনটা মনে হয়নি। আলোচনা হয়েছে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে, তাদেরকে আন্তরিক মনে হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কারো বিশ্বাসে আমরা নির্বাচনে আসিনি। আমরা নির্বাচন নিজেরা করবো। আমরা জোটে যাবো না। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি বলেই, তারা বিশ্বাস -অবিশ্বাসের প্রসঙ্গ টানছে। আমাদের দাবি সুষ্ঠু পরিবেশ।

বিজ্ঞাপন

জাপা মহাসচিব বলেন, রওশন এরশাদের পদটি আলংকারিক। দলের সাংগঠনিক বিষয়ে তার কোন সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার নেই। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে। সংসদ নেতার সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা বৈঠক হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। এতে আমরাও খুশি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনি (রওশন) নালিশ করেছেন। এক দলের বিষয়ে অনেক দলের বিরুদ্ধে নালিশ করা যায় কিনা, রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে কিনা আমার জানা নেই। দলের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই, কেন্দ্রীয় থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টি ২৯৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেন। দলীয় টিকেট পেলেও ৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। ছেলে সাদ এরশাদের আসন নিয়ে টান দেওয়া এবং অনুসারীদের মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়ায় ২৯ নভেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রওশন এরশাদ। নির্বাচন কমিশন বাছাই শেষে ২৭২ আসনে জাপার প্রার্থীদের বৈধ ঘোষণা করেছে। আপিলে ৬ জনের মতো প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই দর-কষাকষি চলছে বলে গুঞ্জন ছিল। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ৭০ আসনের তালিকা দিলেও আওয়ামী লীগ ৩০ থেকে ৩৫ আসনে আটকে রয়েছে। জাপার দাবি হচ্ছে ছাড় দেওয়া আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরিয়ে নিতে হবে।