আজও সুখবর দিলেন না জাপা মহাসচিব

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আজও (১৬ ডিসেম্বর) সুখবর দিলেন না জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সুখবর দিতে পারেন বলে জানালেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাপা মহাসচিব বলেছিলেন, আমার মনে হচ্ছে ১৫ ডিসেম্বর একটি সুখবর দিতে পারবো।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিসহ নানান বিষয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক চলছে। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত আরও বৈঠক হবে। ইতিপূর্বে বৈঠকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে আসন সমঝোতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে স্পিকার ও বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানদের আসনে অন্যদের প্রার্থী না দেওয়ার অনেক নজির রয়েছে। আমরাও কিছু আসনে তেমন কিছু করতে পারি কিনা সে আলোচনাও হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আলোচনার টেবিলে কতটি আসন এসেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। প্রেম করার সময় সবকিছু গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়। আগেই সবাইকে জানালে সেটি সফল হওয়া কঠিন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট কিংবা মহাজোট করার কোন সম্ভাবনা নেই। আমরা ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। আমরা মনে করছি ভোটে নিরব বিপ্লব হবে। আমরা সরকার গঠন করার মতো আসন পাবো।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য হুমকি ও থানায় জিডির গুঞ্জন প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার ফোনেও অনেক হুমকি এসেছে, আমি এগুলো কেয়ার করি না, জিডিও করার প্রয়োজন মনে করিনি।

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। পার্টির চেয়ারম্যানের রহস্যজনক নিরবতা ও নেতাকর্মীদের এগিয়ে চলায় সংশয় বাড়ছে নির্বাচন অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে। অনেক প্রার্থী মনে করছেন আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) ইউটার্ন নিতে পারে জাপা। প্রতীক বরাদ্দের চিঠি ইস্যু না করায় সেই সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে।

আসন সমঝোতা হলে কি হবে, আর না হলে কি হবে সে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন অনেকেই। অনেকে আবার নিজের আসনটি টিক মার্ক (আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রত্যাহার) তালিকায় তুলতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কে-কে টিক মার্ক পাচ্ছেন, কতজন পাচ্ছেন সে আলোচনাই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের প্রধান আলোচ্য বিষয়। টিক মার্কের প্রভাব নিয়েও চলছে তর্ক-বিতর্ক, ক্ষোভও। অনেকেই মনে করছেন টিক মার্কের (সমঝোতায় পাওয়া আসন) বিষয়টি গোপন থাকবে না। এতে অন্য প্রার্থীরা হতাশ হয়ে পড়বেন। যখন জানতে পারবেন তিনি টিক মার্কের তালিকায় নেই, তাহলে কেনো নিজের পয়সা খরচ করে নির্বাচন করবেন! যারা টিক মার্ক পাচ্ছেন না তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবেন। দেখা যাবে বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেছেন।

এসব গুঞ্জন নিয়ে দুপুর দু'টার দিকে বনানী পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন বেশকিছু কেন্দ্রীয় নেতা। তারা কয়েক মিনিট ধরে স্লোগান দেন দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ। আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম।