আসন সমঝোতা নিয়ে কেনো রাখ-ঢাক করছে জাপা!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে গোপনীয়তাকে সন্দেহের চোঁখে দেখছেন জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী। আগে-ভাগে প্রকাশ হয়ে গেলে ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা সরে যেতে পারেন এই ভয়ে রাখ-ঢাক বলে মনে করছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক প্রার্থী বার্তা২৪ ডট কমকে বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন নিজের কর্মীদের সঙ্গেই নাটক শুরু করেছে। সবকিছু ঠিক হলেও কেউই মুখ খুলছে না। আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। হয়তো এমন সময়ে ঘোষণা দেওয়া হবে যখন আর প্রার্থীরা সরে যেতে না পারেন। প্রার্থীদের সরে যাওয়া আতঙ্কে এমন কৌশলী অবস্থান।

খোদ পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এর আচরণও তারা সন্দেহের চোঁখে দেখছেন। তারা বলেছেন, যে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যখন খুশি সাক্ষাৎ করা যেতো, কথা বলা যেতো। সেই চেয়ারম্যান যতক্ষণ দ্বিতীয়তলার অফিস কক্ষে থাকেন, তখন দ্বিতীয়তলায় প্রবেশের মূল ফটক বন্ধ করে রাখা হয়। সাক্ষাৎ দেন বুঝে-শুনে।

সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর এক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য বক্তব্য রেখেছিলেন জিএম কাদের। তারপর থেকে আর মিডিয়ার সামনে আসছেন না। ১৪ নভেম্বর আইডিইবি ভবনে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে সেই সভায় মিডিয়ার প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ।

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ ও অস্থিরতা দেখা গেছে। পার্টির চেয়ারম্যানের রহস্যজনক নিরবতা সংশয় বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে। অনেক প্রার্থী মনে করছেন আগামীকালও (১৭ ডিসেম্বর) ইউটার্ন নিতে পারে জাপা। প্রতীক বরাদ্দের চিঠি ইস্যু না করায় সেই সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে। অনেক প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের চিঠির জন্য এলেও তাদের দেওয়া হচ্ছে না।

আসন সমঝোতা হলে কি হবে, আর না হলে কি হবে সে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন অনেকেই। প্রায় সবার ধারণা সরকারের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় যাচ্ছে জাপা। সমঝোতার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ কিছু আসন ছেড়ে দেবে। যেখানে নৌকা মার্কা থাকবে না, আর নৌকা না থাকার অর্থ হচ্ছে নিশ্চিত বিজয়। প্রার্থীরা অনেকেই সমঝোতার তালিকায় নিজের নাম লেখাতে তৎপর। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তালিকায় নিজের নাম লেখাতে লবিং তদবীর চালাচ্ছেন।

আবার নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে এমন শঙ্কাও অনেক প্রার্থীর মধ্যে। তাদের ধারণা কাঙ্কিত আসন পেলে দফায় দফায় বৈঠকের প্রয়োজন হতো না। আর কাঙ্খিত আসন না পেলে নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারেন জিএম কাদের। তারা অনেকেই বনানীতে ভিড় করছেন জানার চেষ্টা করছেন আসলে নির্বাচনে যাবে কিনা। নির্বাচন প্রশ্নে নিশ্চিত হয়ে তারপর মাঠে টাকা খরচ করতে চান।

বৃহত্তর রংপুরের এক প্রার্থীকে কয়েকদিন ধরেই বনানীতে দেখা যাচ্ছে। তার কাছে প্রশ্ন ছিল কেনো এসেছেন বনানীতে, এখনতো মাঠে থাকার কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, পার্টি নির্বাচন করবে কিনা বুঝতে পারছি না। কোন খবরও পাচ্ছি না। তাই বনানীতে এসে নিশ্চিত হতে চাই, আর প্রতীক বরাদ্দের চিঠি নেবো। কখন প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেওয়া হবে কিছুই জানানো হচ্ছে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সামান্য কিছু পোস্টারের অর্ডার দিয়েছি। ভরসা পাচ্ছি না বেশি পোস্টারের অর্ডার দিতে।

নোয়াখালীর একজন প্রার্থী বলেন, যা চলছে তাতে পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর এখন মাঠ চষে বেড়ানোর কথা। গণসংযোগ বন্ধ থাকলেও নির্বাচনী অফিস স্থাপন, সেন্টার কমিটি গঠনসহ অনেক কাজ করার আছে। আর আমরা অনিশ্চয়তার কারণে ঢাকায় বসে সময় পার করছি। এমনিতেই আমরা পেছনে পড়ে রয়েছি, মাঠে না থেকে আরও পিছিয়ে যাচ্ছি।

পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু প্রতিদিন নিয়মিত ব্রিফিং করে ৩০০ আসনে নির্বাচনের কথা বললেও প্রার্থীরা কেউই তা বিশ্বাস করছেন না। কে-কে টিক মার্ক (সমঝোতায় পাওয়া আসন) পাচ্ছেন, কতজন পাচ্ছেন সে আলোচনাই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের প্রধান আলোচ্য বিষয়। টিক মার্কের প্রভাব নিয়েও চলছে পক্ষে বিপক্ষে তর্ক। অনেকেই মনে করছেন টিক মার্কের বিষয়টি গোপন থাকবে না। এতে অন্য প্রার্থীরা হতাশ হয়ে পড়বেন। যখন জানতে পারবেন তিনি টিক মার্কের তালিকায় নেই, তাহলে কেনো নিজের পয়সা খরচ করে নির্বাচন করবেন! যারা টিক মার্ক পাচ্ছেন না তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবেন। দেখা যাবে বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এতে পার্টির জন্য হিতের বিপরীত হতে পারে।

আসন সমঝোতার গুঞ্জন নিয়ে দুপুর দু'টার দিকে বনানী পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন বেশকিছু কেন্দ্রীয় নেতা। শ্লোগান দেন দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ। আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম। দালালের চামড়া, তুলে নেবো আমরা ইত্যাদি।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিসহ নানান বিষয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক চলছে। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত আরও বৈঠক হবে। আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা হয় নি এ কথা বলবো না। নির্বাচনী কৌশল হিসেবে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে স্পিকার ও বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানদের আসনে অন্যদের প্রার্থী না দেওয়ার অনেক নজীর রয়েছে। অনেক সময় প্রতিপক্ষ হলেও আসন ছাড় দেওয়ার রীতি দেখা গেছে। আমরাও কিছু আসনে তেমন কিছু করতে পারি কিনা সে আলোচনাও হয়েছে। আজকে আরও একটি বৈঠক হবে।

আলোচনার টেবিলে কতটি আসন এসেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসব বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। প্রেম করার সময় সবকিছু গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়। আগেই সবাইকে জানালে সেটি সফল হওয়া কঠিন।

   

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাসায় ফিরছেন খালেদা

বাসায় ফিরছেন খালেদা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এর আগে গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। 

;

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;