জাতীয় পার্টির প্রতীক বরাদ্দ শুরু

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন নিয়ে দোলাচালের মধ্যেই সব আসনে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি ইস্যু করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া ৩টায় সব আসনের প্রার্থীদের নাম উল্লেখ করে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় পার্টি যে সব আসনে দ্বৈত প্রার্থী দিয়েছিল সেগুলো হচ্ছে-

পঞ্চগড়-১ আবু সালেক/ আব্দুর রহিম, দিনাজপুর-২ জুলফিকার/মাহবুব আলম, পাবনা-১ শহীদুল ইসলাম দায়েন/মেহেদী হাসান রুবেল, বরিশাল-২ ইকবাল হোসেন তাপস/রঞ্জিত কুমার বাড়ৈ, টাঙ্গাইল-৬ আবুল কাশেম/মামুনুর রহিম সুমন।

বিজ্ঞাপন

শেরপুর-১ ইলিয়াস উদ্দিন/মাহমুদুল হক মনি, মানিকগঞ্জ-৩ জহিরুল আলম রুবেল/হাসান সাঈদ, ঢাকা-৭, তারেক এ আদেল/হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ঢাকা-১৪, শফিকুল ইসলাম সেন্টু/আলমাস উদ্দিন, ঢাকা-১৭, গোলাম মোহাম্মদ কাদের/সালমা ইসলাম। এই আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি রংপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ঢাকা-১৯, বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ/আবুল কালাম আজাদ, গাজীপুর-১ এম এম নিয়াজ উদ্দিন/আল আমিন সরকার, গাজীপুর-৫ এম এম নিয়াজ উদ্দিন/মনিরুজ্জামান খান, মৌলভীবাজার-২ মাহবুবুল আলম শামীম/আব্দুল মালিক, মৌলভীবাজার-৩ রুহুল আমিন/আলতাফুর রহমান, কুমিল্লা-৬ এয়ার আহমেদ সেলিম/ওবায়দুল করিম মোহন, নোয়াখালী-১ ফজলুল করিম/মোঃ ইয়াছিন এবং সিরাজগঞ্জ-৪ আবু হাশেম রাজু/হিলটন প্রামাণিক।

নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টি ২৯৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়। দলীয় টিকিট পেলেও ৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে বিরত রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন বাছাই শেষে ২৭২ আসনে জাপার প্রার্থীদের বৈধ ঘোষণা করেছে। আপিল শেষে ২৮৩ আসনে প্রার্থী রয়েছে জাপার। অন্যদিকে ছেলে সাদ এরশাদের আসন নিয়ে টান দেওয়া এবং অনুসারীদের মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়ায় ২৯ নভেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রওশন এরশাদ।

আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই দর-কষাকষির চলছিল। দফায় দফায় বৈঠকও চলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ৭০ আসনের তালিকা দিলেও আওয়ামী লীগ প্রায় ৩০টি আসন নিয়ে দর-কষাকষি চলছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে সিনিয়র নেতাদের আসন নিয়ে জটিলতার খবর রটে গেছে। জাপার ছাড় দেওয়া আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার শর্ত দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের বক্তব্য হচ্ছে স্বতন্ত্রের বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই।