পুলিশি বাধায় পণ্ড বাম জোটের ইসি ঘেরাও কর্মসূচি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়েছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশ জোটের নেতাকর্মীদের আটকে দেয়। পরে জোটের নেতাকর্মীরা সেখানে (কদম পোয়ারা) অবস্থান নেয় এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

বিজ্ঞাপন

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম এখান থেকে নির্বাচন কমিশনে যাবো এবং আমাদের কথা বলবো। কিন্তু সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদেরকে এখানে আটকে দিয়েছে। এর নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নাই। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে গড়ে তোলার সংগ্রাম আমরা করছি।

তিনি বলেন, সরকার ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা এমন কিছু আইন করেছে কোনো কথা বললে জেলে হতে পারে, গুম করে দিতে পারে। আগামীকাল থেকে তারা আরেকটি বেআইনি আইন করেছে সেটি হলো রাজনৈতিক সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এইটার মানে কি? বাংলাদেশে কি জরুরি আইন জারি হয়েছে? এই আইন অনৈতিক, অন্যায় এবং অসাংবিধানিক। সরকার আমাদের কণ্ঠ বন্ধ করতে পারবে না। বাংলাদেশে আমরা প্রহসনের নির্বাচন হতে দিব না।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা বলেন, বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চাসহ আজকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে আমাদের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশ আমাদেরকে বাধা দিয়েছে। পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বাধা প্রসঙ্গে রমনা জোনের শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বলেন, আজকে অফিস-ডে। সেজন্য যান চলাচলে যাতে কোনো প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে তাই আমরা ওনাদের বলেছি— আপনাদের যদি কোনো দাবি থাকে তাহলে সেটি লিখিত আকারে আমাদেরকে দেন এবং আমরা সেটি সরকারের কাছে পৌঁছে দেব। তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরে আমরা তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। পরে তারা এখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে।

গণতান্ত্রিক বাম জোটের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত দাবি দেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তারা কোনো প্রকার লিখিত দাবি আমাদের কাছে পাঠায়নি।