নির্বাচনে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাচ্ছে। কিছু সিনিয়র নেতাদের আসনে সমঝোতা হচ্ছে বা হবে। পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা ২৮৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা যেনো আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রতীক বরাদ্দ গ্রহণ করতে পারে। পার্টির চেয়ারম্যানের নির্দেশে সবাইকে ভোটের মাঠে থাকার জন্য বলছি। ভোট যেনো উৎসবমুখর হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চেয়েছিলাম। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আমরা তাদের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কিছু কৌশল থাকে। আমাদেরও কিছু কৌশল রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে চাই না। সময় হলেই জানানো হবে।
এর আগে, দুপুর পৌনে ১টার দিকে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, নির্বাচন করবো কি, করবো না তা আজকের মধ্যে পরিষ্কার হওয়া দরকার। পার্টির চেয়ারম্যান সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন বিকেলের মধ্যে জানাতে পারবো।
নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টি ২৯৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়। দলীয় টিকিট পেলেও ৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে বিরত রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন বাছাই শেষে ২৭২ আসনে জাপার প্রার্থীদের বৈধ ঘোষণা করেছে। আপিল শেষে ২৮৩ আসনে প্রার্থী রয়েছে জাপার। অন্যদিকে ছেলে সাদ এরশাদের আসন নিয়ে টান দেওয়া এবং অনুসারীদের মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়ায় ২৯ নভেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রওশন এরশাদ।
আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই দর-কষাকষির চলছিল। দফায় দফায় বৈঠকও চলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ৭০ আসনের তালিকা দিলেও আওয়ামী লীগ প্রায় ৩০টি আসন নিয়ে দর-কষাকষি চলছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে সিনিয়র নেতাদের আসন নিয়ে জটিলতার খবর রটে গেছে। জাপার ছাড় দেওয়া আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার শর্ত দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের বক্তব্য হচ্ছে স্বতন্ত্রের বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই।