চট্টগ্রামে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে 'গণসংযোগ'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম নগর ও জেলাতে চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। অন্যদিকে নগরীর বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে 'গণসংযোগ' করে চলছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রবর্তক মোড় ও মেডিকেল এলাকায় গণসংযোগের পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায় চট্টগ্রাম নগর বিএনপির নেতাকর্মীদের।

বিজ্ঞাপন

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন জনগণের ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার হরণকারী, একতরফা আসন ভাগাভাগির তামাশা, পূর্ণ ডামি প্রার্থীর অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, অবৈধ সরকার জনমতের বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে যে তামাশা করতে যাচ্ছে, সেই সরকারকে সহযোগিতা করা কোনো দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী নাগরিকের জন্য উচিত হতে পারে না। তাই ৭ জানুয়ারি ডামি ভোটের নির্বাচন বর্জন করুন। ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম বিধায় ব্যাংকে লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দেশে এখন আসন ভিক্ষা করার রাজনীতি চলছে। যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেটি আসলে বিরোধী দল খোঁজার নির্বাচন। সরকারের তৈরি কিংস পার্টিগুলো সরকারের কাছে আবদার করছে বিরোধী দল হওয়ার জন্য। এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক। এটি একটি প্রহসনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই ধরনের নির্বাচন দুর্নীতিবাজদের জন্য। প্রার্থীদের হলফনামা দেখলে বুঝা যায় কিভাবে তাদের সম্পদ বেড়েছে। এই নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে, তারা চিরকালের জন্য মীরজাফর এবং দালালে পরিণত হবে।

তিনি এই মুহূর্ত থেকে অবৈধ আওয়ামী সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহবান জানান।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, রাষ্ট্র শক্তিকে ব্যবহার করে নিজেরা নিজেরা ডামি নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বাহাদুরি করার কিছু নেই। জনগণ এ ধরণের একতরফা নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। অবৈধ সরকার একটি একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এটা একটা প্রতারণা ও জনগণের সঙ্গে তামাশা করার নির্বাচন। এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান ওসমান চৌধুরী, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, চবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমূখ।