কোনো দেশপ্রেমিক ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে না: সাকি
আগামী ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হচ্ছে না, কোনো ভোট হচ্ছে না বলে মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, তাই ৭ তারিখে কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। বাংলাদেশের কোনো দেশপ্রেমিক ৭ তারিখে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে না। এ সরকারকে আগামী ৭ তারিখ পর্যন্ত অসহযোগিতা করে আমাদেরকে এক জাগরণ তৈরি করতে হবে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরাম খাঁ হলে ইউনাইটেড ল'ইয়ার্স ফ্রন্ট কর্তৃক আয়োজিত ‘নির্বাসিত গণতন্ত্র ও বিপন্ন মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এরা ভোটের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে, নির্বাচনের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সংজ্ঞাও বদলে দিয়েছে। আজকে এরা আমাদের ভোট কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রকে একটা অস্তিত্বের হুমকির মধ্যে ফেলছে।
তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যাদেরকে বিরোধী দল বানাতে চাচ্ছে সেটা তিনি (শেখ হাসিনা) স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জে.এম কাদের পার্টি অফিসের সামনে পুলিশ দ্বারা ঘেরাও হয়ে সাংবাদিকদের সামনে বললেন, ভিক্ষার সিট নিয়ে আমি রাজনীতি করি না। দুই তিন ঘণ্টা পর আমরা জানলাম তাকে (জে এম কাদের) ২৬ আসন ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২৬ সিট তাহলে কি? ওনার ভাষায় কি তাহলে এটা ভিক্ষার সিট? এটার জবাব আমাদেরকে দিতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কৃষিমন্ত্রী বলেছেন বিএনপিকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাহলে একরাতে ২০ হাজার নেতাকর্মীদেরকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তার মানে ভিক্ষার সিট দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল? এখন যে বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ ৬৩টি দল এই নির্বাচন বয়কট করেছে তারা নির্বাচনে যায়নি। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ওনাদের (আওয়ামী লীগ) জোট মিত্র, মহাজোট মিত্র তারাও করতে চায় না। তারাও (জোট মিত্র) এসরকার যে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে এটার উপরে ভরসা রাখে না। ফলে তারা (জোট মিত্র)
আগে-ভাগে আসনের নিশ্চয়তা চেয়েছে। এমন নগ্ন ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটে নাই।
তিনি আরও বলেন, ওনারা (আওয়ামী লীগ) মহা আবিষ্কার করলেন সেটা হলো নিজের দলের লোকজনকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এটা করে দেশের মানুষকেও খাওয়াতে চায় আবার বিদেশিদেরকেও খাওয়াতে চায়। এদেশের মানুষ এত বোকা না, কোনো কোনো বিদেশিরা যদি এত বোকা হয়ে এটাকে নির্বাচন হিসেবে সার্টিফিকেট দেয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ওই সব বিদেশিদের পাত্তা দেয় না। যেসব বিদেশিরা পয়সা খেয়ে চোখ বন্ধ রেখে মানুষের ভোটের অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার বিষয়কে নির্বাচন বলে সার্টিফাই করবে ওই সব বিদেশিদেরকে এদেশের মানুষ পাত্তা দেয় না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আব্দুল মঈন খান, ইউনাইটেড ল'ইয়ার্স ফ্রন্টের কনভেনর অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।