হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রামে জামায়াতের বিক্ষোভ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচন বর্জন, ভোটদান থেকে বিরত থাকা এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেন্দ্র ঘোষিত ৬ ও ৭ জানুয়ারি সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) নগরীর ডবলমুরিং,পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও থানাসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে নগর, থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনের দাবি জানান। আমীরে জামায়াত ডা.শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতার সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

বিজ্ঞাপন

জামায়াত নেতারা বলেন, ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে গেছে স্বৈরাচার সরকার। গতকাল শুক্রবার রাতে ট্রেনে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়, দেশের মানুষ বোকা নয় কারা আগুন দিয়েছে জনগণ তা ভালো করেই জানে। বিরোধী দলগুলোর উপর দায় চাপাতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যা সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তা করলে স্পষ্ট হয়ে যাবে। বিরোধী দলের আন্দোলনে দায় চাপাতে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশের মানুষের স্বার্থ চায় না, শুধু ক্ষমতা চায়।

নেতারা আরও বলেন, মানুষ মারা বন্ধ করে ক্ষমতা কেয়ারটেকার সরকারের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। অন্যথায় জনগণ গণআন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে।

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসনের আয়োজন করা হয়েছে। যা সকল রাজনৈতিক দল বয়কট করেছে। প্রহসনের নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। জনগণ এই নির্বাচন বর্জনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিগত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতাসীন মহল বাংলাদেশকে একটি লুটতরাজের রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারের তামাশার নির্বাচন বর্জন করুন, ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকুন। জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের ঘোষিত ৬ এবং ৭ জানুয়ারির সর্বাত্মক হরতাল সফল করে তুলুন। দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।