চট্টগ্রামে ভোট কেন্দ্রে সহিংসতা, বিএনপির ১২ নেতাকর্মী গ্রেফতার
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাওঁ থানা এলাকায় ভোট চলাকালীন ভোট কেন্দ্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনার মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল কবির। তবে তিনি গ্রেফতার আসামিদের নাম জানাননি। জানা গেছে, আসামিরা সকলে বিএনপির নেতাকর্মী।
এর আগে, রোববার নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুর এলাকায় ভোট কেন্দ্রে প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ওই দিন চান্দগাঁও থানা পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানসহ দলটির আরও ৪৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ভোট কেন্দ্রে দরজা-জানালা ভাঙচুর, রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ী ভাঙচুর ও টায়ারে আগুন দিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় দায়ের করা মামলা আমরা এখন অবদি ১২ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের নাম সংগ্রহ করা জানানো হবে। অভিযান চলমান রয়েছে।
বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও এরশাদ উল্লাহর নামে মামলা, ১২ জন গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এধরনের মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বিএনপির ডাকা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নামে একের পর এক মামলা দিয়েই যাচ্ছে সরকার। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপি নেতৃবৃন্দকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেফতার করছে। বর্তমান সরকার বিএনপির নেতৃত্বে চলমান একদফার অসহযোগ আন্দোলনে ভীত হয়ে পড়েছে। তাই মধ্যরাতের ভোট ডাকাত সরকার পুলিশকে দিয়ে বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও এরশাদ উল্লাহ সহ শত শত নেতাকর্মীকে আসামি করে উদ্ভট মামলা করেছে। অথচ ঐদিন এই দুই নেতা কর্মসূচিতেও ছিলেন না। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলা পরিকল্পিত ও মিথ্যা। সরকারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে একেকটি ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নামে মামলা দিচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার টিকে আছে। এখন আইন আদালত, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছুই শেখ হাসিনার হুকুমের দাসে পরিণত হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীসহ সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও এরশাদ উল্লাহর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তারা।