‘ভিক্ষুককে গোসল করিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষক সাজিয়ে এনেছে সরকার’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে সরকার। এই ডামি নির্বাচনে ডামি পর্যবেক্ষক দিয়ে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৈধতা দেয়ার সাফাই গাইলেও জনগণ নির্বাচন প্রত্যখ্যান করেছে। এই ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীর পর ডামি পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে সরকার।’

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা সরকারের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘ওসব দেশ থেকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচনে তারা কোন পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। রাস্তায় ভিক্ষা করা মানুষকে গোসল করিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষক সাজিয়ে নিয়ে এসেছে সরকার। বিদেশের কিছু হিপ্পি, ড্রাগ নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় শুয়ে থাকা কতগুলো মানুষকে নির্বাচনের পর্যবেক্ষক সাজিয়েছে। তাদের টাকা দিয়ে ভাড়া করে এনে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। অর্থাৎ এই নির্বাচন হচ্ছে ডামি, প্রার্থী ডামি, পর্যবেক্ষকও ডামি-সব ভুয়া।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কাজীর দেউরী মোড়ে মহানগর বিএনপির লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন ডা. শাহাদাত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর।

বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে, নুর আহম্মেদ সড়ক, কাজীর দেউরী মোড় ও কাঁচাবাজার এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, ‘জনগণ বিশ্বাস করে একদলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এখানে যেটা হয়েছে, সেটা ভোট ডাকাতি আর ভোট নিয়ন্ত্রণ। চট্টগ্রামে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি কিন্তু সেটাকে ৪০ শতাংশ দেখানো হয়েছে। এ নির্বাচনে কোন প্রার্থী বিজয়ী আর পরাজিত সেটা ছিল পূর্বনির্ধারিত। সরকার ১৪ ও ১৮ সালের মতো ২৪ সালের নির্বাচনেও এদেশের মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা মানুষের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছি।’

এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সিএমইউজের সভাপতি সাংবাদিক মো. শাহনওয়াজ, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম মো. জানে আলম, মহানগর বিএনপি নেতা শিহাব উদ্দিন মোবিন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, মহানগর বিএনপি নেতা মো. ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙ্গালী, নকিব উদ্দীন ভূইয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সৈয়দ আবুল বশর, হাসান উসমান চৌধুরী, আবু ফয়েজ, বিএনপি নেতা আবদুল হালিম, জসিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নাছির উদ্দীন চৌধুরী নাসিম, সহ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, মো. সালাউদ্দীন, এম এ জলিল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ রিপন, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ রাসেল, শহীদুল ইসলাম শহীদ, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দীন কাদের আসাদ, আরিফুর রহমান মিটু প্রমূখ।