বর্তমান আন্দোলন হচ্ছে নিরস্ত্র জনগণের শক্তি বনাম রাষ্ট্রশক্তি: মঈন খান
বর্তমান আন্দোলন হচ্ছে নিরস্ত্র জনগণের শক্তি বনাম রাষ্ট্রশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে তার জন্য কিন্তু আমরা আন্দোলন করছি না। আমরা আন্দোলন করছি একটা পরিবর্তনের জন্য। আর সেই পরিবর্তনটা হচ্ছে জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। আজকের এই আন্দোলন কিন্তু বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগের আন্দোলন না। এই আন্দোলন হচ্ছে, নিরস্ত্র জনগণের শক্তি বনাম রাষ্ট্রশক্তি। এই কঠিন সংগ্রামকে কিন্তু আমাদের উপলব্ধির মধ্যে রাখতে হবে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে ইউনাইটেড ল'ইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলই)।
৭ জানুয়ারি সরকারের বড় ধরনের পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, জনগণ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিতে যায়নি। অনেকে বলছেন আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলেছে আর বিএনপির পরাজয় হয়েছে, এখানে আমি বলব বিএনপির কোন পরাজয় হয়নি, সরকারের হয়েছে।
মঈন খান বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনা প্রবাহ পুরো দুনিয়ার মানুষ কিভাবে দেখেছেন। পৃথিবীর নামিদামি গণমাধ্যমগুলো এই বিষয়ে তো রিপোর্ট দিয়েছেন। সেদিনের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলেছেন, সরকার একটি শান্তিপূর্ণ বিরোধী দলের মিছিলে ক্র্যাক ডাউন করেছেন। এই শব্দটি তো আর বিএনপির থেকে বলা হয়নি। বিএনপি বলার আগেই বিদেশি গণমাধ্যম এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলেছেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়নি, এখানে ভোটাররা যায়নি।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ থেকে রাজনীতিকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এদেশে রাজনীতি বলতে কিছু নেই। রাজনীতিতে এখন একটি বিষয় কাজ করে ক্ষমতা আর অর্থবিত্ত। দেশের রাজনীতি আজকে যে পর্যায়ে গিয়েছে সেই পরীক্ষায় আমি পাস করতে পারিনি। কাজেই সেই ধরনের রাজনৈতিক আমি হতেও চাই না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাস্টিস মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।