কর্তৃত্ববাদী সরকারের চরিত্র কখনো গণমুখী হয় না: গয়েশ্বর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কর্তৃত্ববাদী সরকারের চরিত্র কখনো গণমুখী হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এবং জনগণের নিরাপত্তার জন্য যারা প্রজাতন্ত্রের বেতন নেয় আর সচিবালয়ে যারা বসেন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা এরা একটি সম্মিলিত সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ১৮ কোটি মানুষের অধিকার হরণ করে একটি কর্তৃত্ববাদ চায়। এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের চরিত্র কখনো গণমুখী হয় না। কর্তৃত্ববাদীরা কখনো মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝতে রাজি না। কারণ কর্তৃত্ববাদীরা কখনোই জনগণ কর্তৃক সমর্থিত হয় না। সে কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোনো মায়া, মমতা অথবা সাংবিধানিক দায়িত্ববোধ জন্মায় না। এদের কর্তৃতবাদ মানেই হলো দেশের অর্থসম্পদ লুটপাট করা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের সরকার নয় মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার ভারত, চীন, রাশিয়ার সরকার। চীন, রাশিয়ায় তো গণতন্ত্রের বালাই নেই। আর ভারতে এখন যা চলছে, সেই আগের রাজনৈতিক বৈশিষ্ট নেই। আজকে সরকার এমনভাবে সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, যে এখন তারা দুর্নীতি না করলে চাকরি যায় অথবা দুর্নীতিতে সহায়তা না করলে চাকরি যায়।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুর্নরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং করে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা রেকর্ড করতে পারিনি, এক সরকারের মেয়াদে ১৭৩ দিন হরতাল দেওয়ার। আমরা রেকর্ড করতে পারিনি, গান পাউডার দিয়ে শেরাটনের সামনে বাসে মানুষ মারার। আমরা এখনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারিনি চলমান পথিককে বিবস্ত্র করার। আমরা এখনো পারিনি লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে তার ওপর নাচ-গান করা। এসবের সংস্কৃতি কাদের মনে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি কাদের মনে, যারা জোর করে ক্ষমতায় থাকে।

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর আসনে দুইটি না তিনটি কেন্দ্রে ১০০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। তার মানে টুঙ্গিপাড়ায মানুষ মরে না, অথবা গত পাঁচ বছরে কেউ মারা যায়নি, বিদেশে যায়নি, অসুস্থ হয়নি। আপনারা (সরকার) কিন্তু আপনাদের ফাঁদেই পড়েছেন, আপনাদের কথার ফাঁদে পড়েছেন।

বিএসপিপির আহবায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল কুদ্দুস, এ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাড. আবেদ রেজা, কৃষিবিদ শফিকুর রহমান, মৎস্যজীবি দলের সভাপতি মাহতাব, ন্যাবের সভাপতি বেগম জাহানারা সিদ্দিকী, ড্যাবের সাবেক মহাসচিব ডা. ওবায়দুল কবির খান, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম প্রমুখ।