সরকার ৫ বছর মেয়াদ শেষ করতে পারবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ
এই সরকার ৫ বছর মেয়াদ শেষ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ডামি নির্বাচন ও ডামি সংসদ বাতিল করতে হবে; অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে শীর্ষক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে এসব মন্তব্য করেন তারা।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সরকার যতই বড়াই করুক না কেন পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, ডলার সংকট, টাকা নাই, এ শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ পর্যন্ত নাই। যখন গরম শুরু হবে তখন আপনি (সরকার) বিদ্যুৎ আনবেন কোথা থেকে? আপনাদের তো (সরকার) অনেক কোম্পানিতে বিদ্যুতের টাকা বাকি আছে। ২৫ হাজার কোটি টাকা বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টাকা বকেয়া রয়েছে। আদানি কোম্পানি সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা পাবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে আগামী তিনমাসে ১২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। তখন আমাদের রাজকোষে কোনও টাকা থাকবে না, রিজার্ভে কোনও টাকা থাকবে না। এখন দেশের রাজকোষে মাত্র ১৬ বিলিয়ন ডলার আছে, এদেশ চলবে!
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ৭ জানুয়ারি কোন নির্বাচন হয়নি। সেদিন যা হয়েছে সেটা হচ্ছে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া। মানুষ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। তার জন্য বাছাই করার সুযোগ রাখতে হয়। বাছাই করার সুযোগ থাকলেই কেবল মানুষের ভোট কার্যকর হয়। এক দল নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করে, সেটাকে ভোট দেওয়া বলে না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন দিয়েছে। ২০১৮ সালে এই দল নিশি রাতের নির্বাচন দিয়েছে, ভোট ডাকাতির নির্বাচন দিয়েছে। ২০২৪ সালে এসে ডামি নির্বাচন দিয়েছে। এই দল রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এদের কোন হুশ নাই। ক্ষমতা থেকে নামলে দল হিসেবে তাদের অস্তিত্ব থাকবে কিনা সেটাই এখন মানুষের প্রশ্ন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার দ্রুত বিচার আইনকে স্থায়ী করার ব্যবস্থা করছে। তার অর্থ হচ্ছে দ্রুত বিচার আইনের মধ্য দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে বিচারের নাম করে দ্রুত জেলখানায় পাঠানো। এই সরকার বিচার ব্যবস্থাকে অবলম্বন করে কোনমতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। এইভাবে তারা বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারবে না।
ভাষানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন সহ মঞ্চের অন্যান্য নেতারা।