ভারতের ভূমিকা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের শামিল: ১২ দলীয় জোট
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দরা বলেন, ভারতের ভূমিকা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের শামিল। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে নানা কূটকৌশলের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে রাখতে সহযোগিতা করে তাবেদার সরকার বানিয়ে রেখে ১৬ বছর ধরে আধিপত্যবাদী শোষণ ও বহুমুখী সুবিধাভোগ বজায় রেখেছে।
রোববার (১৮ ফ্রেরুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘১২ দলীয় জোট’ কর্তৃক আয়োজিত ভারতীয় আগ্রাসন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা এসব কথা বলেন ।
১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ভারতের দাসত্ব করে আওয়ামী লীগ দেশটাকে ভারতের করদরাজ্য বানিয়ে এবং বিরোধী দলের বিরুদ্ধে স্টিমরোলার চালিয়ে দুঃশাসনের জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছে। জনগণ এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। জনগণ রক্ত দিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছে ভারতের গোলামী করার জন্য নয়। জনগণ ভারতের সীমাহীন হস্তক্ষেপ ও বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগিতা এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনের মত কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর কুফল ভারত পেতে শুরু করেছে, অচিরেই এর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া ভারতের জনগণ উপলব্ধি করবে।
আরও বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী, আমরা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই, তাই ভারতের উচিত আওয়ামী লীগ সরকার নয় শেখ হাসিনা নয় বাংলাদেশের জনগণের অধিকারের পক্ষে ভূমিকা রাখা। দেশের মালিক হাসিনা নয় আওয়ামী লীগ নয় ১৮ কোটি জনগণ দেশের মালিক। জনগণের বিরুদ্ধে একটি দলের পক্ষ নেওয়ার পরিণতিতে ভারতকে তার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হারাতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ ভারতের পণ্য বর্জন করলে তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে ভারতের জনগণকেই।
বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে জনগণ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এই লুটেরা সরকারকে বিদায় করতে না পারলে দেশে আরেকটি চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে। দেশবাসী জীবন পণ করে রাজপথে নেমে গণ -অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধ ভোট ডাকাত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান লেবার পার্টি চেয়ারম্যান ফারুক রহমান বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আমিন, প্রমুখ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।