এরিক এরশাদ ও বিদিশার ওপর হামলার অভিযোগ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ ও তার মা বিদিশার ওপর হামলা-শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর 'পল্লী নিবাস' বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ছেলে এরিক এরশাদ।

বিজ্ঞাপন

রংপুরে ট্রাস্টভুক্ত প্রতিষ্ঠান পল্লীবন্ধু কোল্ড স্টোরেজে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন এরিক এরশাদ বলেন, আমার বাবা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মৃত্যুর আগে আমার ভরণ-পোষণের জন্য বেশকিছু সম্পদ ট্রাস্টের নামে করে যান। সেই সম্পদগুলো ভোগ করবো আমি। এর মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জের পল্লীবন্ধু কোল্ড স্টোরেজও রয়েছে। তবে এই হিমাগারের ৩০ ভাগ শেয়ার দেওয়া হয় বাবার চাচাতো ভাই সামছুজ্জামান মুকুলের নামে।

বিজ্ঞাপন

তিনি অভিযোগ করেন, বাবার মৃত্যুর পর ট্রাস্টের আওতাধীন হিমাগারটি পরিচালিত হলেও আমি এর লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি। ট্রাস্টের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও জবরদখলের মাধ্যমে পল্লীবন্ধু হিমাগারটি কুক্ষিগত করে রেখেছেন বাবার চাচাতো ভাই মুকুল ও স্থানীয় প্রভাবশালী বারী মুন্সি।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে আমি ও মা বিদিশা ঢাকা থেকে রংপুর নগরীর পল্লীনিবাসে আসি। বাবার কবর জিয়ারত শেষে পল্লীবন্ধু কোল্ড স্টোরেজে যাই। সেখানে বারী মুন্সি, মুকুল ও তার ছেলেসহ অপরিচিত লোকজন আমাকে এবং মাকে (বিদিশা এরশাদ) ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজ করে হিমাগার থেকে বের করে দেয়। এক পর্যায়ে তারা মারমুখী হলে পুলিশে খবর দেই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করলে আমরা পল্লী নিবাসে ফিরে আসি।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমি ন্যায্য বিচার চাই।

সংবাদ সম্মেলনে বিদিশা এরশাদ বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের যে কমিটি ছিল, তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তারা এরিকের সম্পত্তি হ্যান্ডওভার করছে না। এরিক একজন প্রেসিডেন্টের সন্তান। তার বাবা বেঁচে থাকাকালীন সে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেছে। বর্তমানে ট্রাস্টের সম্পত্তির টাকা না পাওয়ায় সে আর্থিক সংকটে ভুগছে। তার স্বাভাবিক জীবনযাপন নেই। আজ হিমাগারে গেলে ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজ করাসহ আমার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর ন্যায্য বিচার চাই।

তিনি বলেন, এরিকের চাচা (জিএম কাদের) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, বিরোধীদলীয় নেতা হলেও কেউ এরিকের খোঁজ-খবর রাখেনি। আমাদের ওপর অন্যায়-অত্যাচার হচ্ছে, দলের কোনো নেতা একবার ফোন করেও খবর নেয়নি। তাই, এরিক বিষয়টি জাপা চেয়ারম্যানকে জানায়নি।

এদিকে, মিঠাপুকুর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এরিক এরশাদ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। হিমাগার যারা পরিচালনা করছেন, তাদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।