দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি। দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি। দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেনা ছাউনিতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সূচনা লগ্ন থেকেই বিএনপি অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের পথ রুদ্ধ করে রাজনীতি করে আসছে। সুতরাং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বেমানান।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসী রাজনীতির প্রতিভূ এবং জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলাটা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নির্বিচারে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যারা হত্যা করেছিল; যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল, যারা দশ ট্রাক অস্ত্র আমদানি করেছিল, যারা অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সেই খুনিদের দল যখন জননিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে, তখন জনগণ আরও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে কাউকে গ্রেফতার করে হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির যে সকল সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা অগ্নিসন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করাটা কোনোভাবেই হয়রানিমূলক হতে পারে না। সন্ত্রাসীদের আইন ও বিচারের মুখোমুখি করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। একথা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও প্রমাণিত যে, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ যে কোনো সময়ের তুলনায় স্বস্তিতে বসবাস করছে। যে কোনো মূল্যে দেশের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাব।

   

কারিক্যুলামে ইসলামী শিক্ষা বাস্তবায়নে নতুন কমিশন গঠনের দাবি হেফাজতের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রত্যেকটা স্তরে ইসলামী শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য আলেমদের পরামর্শের আলোকে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে, হেফাজতে ইসলাম।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত বর্তমান ‘জাতীয় শিক্ষা কারিক্যুলাম ও নতুন পাঠ্যপুস্তকের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা এ দাবি জানান।

এসময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ’।

গত রমজান মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে রং তামাশা করেছে, এটাকে কোনো সভ্য জাতি সমর্থন করতে পারে না। কওমি মাদ্রাসাকে যখন স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সংসদ অধিবেশনে যখন এটা নিয়ে কথা হয়েছে, তখন অনেকে আমাদের নামটাও ভালোভাবে উচ্চারণ করতে পারেনি। একটা জাতিকে ধ্বংস করার মূল হাতিয়ার হলো শিক্ষা এবং সংস্কৃতি।

তারা বলেন, ইসলাম এবং সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য এদেশে একটা মহল শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে পাঁয়তারা করছে। আমরা যখন এগুলো নিয়ে আওয়াজ তুলি, তখন একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। যারা এদেশ থেকে ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়, তাদেরকে নিয়েই এই সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

৯০ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার শিক্ষানীতি শিক্ষা কারিক্যুলাম ও সিলেবাসসহ যতটি শাখা-প্রশাখা রয়েছে, প্রতিটা ক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা থাকা উচিত। শিক্ষাব্যবস্থা একটি ব্যাপক বিষয়। শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। তাদের ধর্মহীন হিসেবে গড়ে তোলার অপপ্রয়াস চলছে।

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের জাতীয় পাঠ্যবই নিয়ে একের পর এক বিতর্ক হচ্ছে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কোনো জাতিকে পরাজিত করতে হলে সেই জাতির শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করাই যথেষ্ট। আজকে রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে সব দিক থেকে আমরা ‘হিন্দুত্ববাদী’ ও ‘ব্রাহ্মণ্যবাদী’ আগ্রাসনের শিকার। বিধর্মী ও মুশরিকদের চোখে আমাদের সবচেয়ে বড় অপরাধ যে, আমরা মুসলিম। আমাদের ঈমান ও মুসলিম পরিচয়কে তারা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চায়। সেজন্যই আমাদের ধ্বংস করার প্রথম ধাপ হিসেবে ‘হিন্দুত্ববাদীরা’ আমাদের জাতীয় পাঠ্যপুস্তককে টার্গেট করেছে। তাদের ষড়যন্ত্রেই আজকে স্কুল-কলেজ ও সরকারি মাদরাসার পাঠ্যপুস্তকের এই বেহাল দশা।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের জাতীয় পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামী মূল্যবোধ ও ভাবধারার রচনাপত্র বাদ দিয়ে মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দু লেখক ও ইসলামবিদ্বেষী সেকুলার কবি-সাহিত্যিকদের লেখা দিয়ে ভরে ফেলা হয়। তখন বিষয়টি হেফাজতে ইসলামের দৃষ্টিগোচর হয়। পাঠ্যবইয়ের হিন্দুত্বায়ন ঠেকাতে আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানাই যে, পাঠ্যপুস্তককে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

বাবুনগরী বলেন, দুঃখজনকভাবে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে আরো নগ্নভাবে ‘হিন্দুত্ববাদের’ আগ্রাসন দেখা যায়। পাঠ্যপুস্তকের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ‘হিন্দুত্ববাদী’ ইতিহাসের বয়ান ও ‘হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসলামী মূল্যবোধ ও মুসলমানের কোনো পরিচয় রাখা হয়নি। এছাড়া ইসলামবিরোধী বিবর্তনবাদ তত্ত্ব, পৌত্তলিকতা, গ্রিক দেবদেবীর পরিচয়, হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি, ট্রান্সজেন্ডারিজমের মতো বিকৃত ধ্যানধারণা, ছেলেমেয়ের অবাধ মেলামেশা, পর্দা বিদ্বেষসহ মুসলমানের ঈমানবিরোধী এমন কিছু নেই যা, পাঠ্যবইয়ে ঢোকানো হয়নি। আমাদের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মুসলিম আত্মপরিচয় ও ঈমানি চেতনা ভুলিয়ে দিতেই এসব করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি। এটা অনেক বড় ষড়যন্ত্রের অংশ। কারাবন্দি প্রতিবাদী আলেমদের অনুপস্থিতিতেই এসব ঘটানোর দুঃসাহস করেছে ইসলামবিরোধী অপশক্তি।

আমাদের নেতৃবৃন্দকে জেলে ঢুকিয়ে তারা ভেবেছিল, এদেশের আলেম-ওলামাকে স্তব্ধ করা গেছে। এটা কখনো সম্ভব নয়। আমরা সবর করেছি। আমাদের সবর করার মানে এই নয় যে, আমরা চুপ হয়ে গিয়েছি কিংবা পরাজিত হয়েছি। আমাদের সবর বরং আরো দ্বিগুণ শক্তি সঞ্চয়ের সুপ্ত বারুদ মাত্র।

বাবুনগরী বলেন, কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা কাউকে ক্ষমতায় বসানো আমাদের কাজ নয়। এদেশের মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ও ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণ এবং দাওয়াতি কাজই হেফাজতে ইসলামের মূল উদ্দেশ্য।

হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ, ছবি- বার্তা২৪.কম

সুতরাং, আমরা সরকারকে সতর্ক করে বলতে চাই, ক্ষমতায় থাকার লোভে হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্রের খেলায় দেশকে ঠেলে দেবেন না। এটা ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ। সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় চেতনা, সংস্কৃতি ও স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা সম্ভব নয়। পাঠ্যপুস্তকের হিন্দুতায়ন ঠেকাতে আমরা ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে যারা ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করছে। তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করুন। তাদের বহিষ্কার করে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিন। সেইসঙ্গে নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্কারের ব্যবস্থা করুন।

হেফাজতের আমির বলেন, দেশের সচেতন অভিভাবকদের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা আরো সরব হন। ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আপনাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হলে এই বর্তমান বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাখ্যানের বিকল্প নেই। ইসলামবিরোধী হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যবই প্রত্যাখ্যান করুন। স্কুলে আপনার সন্তানদের কী শেখানো হচ্ছে, তা জনসম্মুখে তুলে ধরুন। আমাদের জাতীয় পাঠ্যপুস্তক আজ হিন্দুত্ববাদের কবলে পড়েছে। অঙ্কুরেই মুসলমানের ছেলেমেয়েদের ঈমানি চেতনা ধ্বংস করার আয়োজন করা হচ্ছে। সেক্যুলারিজমের নাম দিয়ে ইসলাম নির্মূল করার এই চক্রান্ত আমরা সফল হতে দেবো না।

এসময় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান সাতটি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে-

১. 'ইসলামী শিক্ষা বিষয়' প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সকল শাখায় আবশ্যিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

২. দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন তথা বোর্ড পরীক্ষায় 'ইসলামী শিক্ষা বিষয়' পুনর্ববহাল করতে হবে।

৩. বিতর্কিত ও প্রত্যাখ্যাত কুরআনবিরোধী বিবর্তনবাদ ও ট্রান্সজেন্ডারবাদসহ ইসলামবিরোধী সকল পাঠ্যরচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ করতে হবে।

৪. আরব দেশগুলোর শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য আরবি ভাষায় পাঠদান সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করতে হবে। উল্লেখ্য, ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ উদ্দেশ্যে আরবি ভাষা শিখে এগিয়ে রয়েছে।

৫. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিতকরণপূর্বক অপসারণ করে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

৬. ভবিষ্যতে বিতর্ক এড়াতে দেশের নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের পুনর্সংস্করণ করতে হবে।

৭. ২০১৩ থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

আমরা সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের প্রতি আমাদের প্রস্তাব ও যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে দেশের জনগণকে ইসলামবিরোধী ও জাতীয় মূল্যবোধপরিপন্থী এ শিক্ষা কারিক্যুলামের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।

;

গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে গণমাধ্যম স্বাধীন হতে হবে: মঈন খান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে গণমাধ্যমকে স্বাধীন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড আবদুল মঈন খান।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের আদর্শে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।

রোববার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজ) আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ, সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না।

বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব বাছির জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ খান, ডিইউজের দফতর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ প্রমুখ।

;

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভা সোমবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভা আগামীকাল ৬ মে (সোমবার) বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আগামীকাল ৬ মে (সোমবার) বিকেল ৪টায় আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে (বাড়ি নং- ৫১/এ, সড়ক- ৩/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

;

অর্থনীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপে আছি: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশ্বিক অর্থনীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্ষমতাসীন দল চাপের মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আপনারা বলছেন, চাপে আছে, এ চাপটা কে দিচ্ছে, কোথায় থেকে আপনারা সে চাপ অনুভব করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, চাপটা হলো গ্লোবাল ইকোনমির (বৈশ্বিক অর্থনীতি)। যুদ্ধের কারণে যে অর্থনৈতিক সংকট, এটা সারা বিশ্ব জুড়েই। তার প্রভাব আমাদের এখানেও আছে। আমাদের আমদানি, রফতানি, জ্বালানি, মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকট, এগুলো অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এগুলো এফেক্টেড (ক্ষতিগ্রস্ত) হলেই তো চাপ হয়।

তিনি বলেন, এগুলো আমরা উপেক্ষা করবো কীভাবে!

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের অর্থনীতির প্রভাব থেকে বাংলাদেশ মুক্ত আছে, এমন দাবি আমরা করতে পারি না। কাজেই, আমরা চাপ অনুভব করছি। যেমন- দ্রব্যমূল্য। দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপের মধ্যে আছি। এটা অস্বীকার করলে বাস্তবতাকে অস্বীকার করা হবে।

মন্ত্রী-এমপিদের পরিবার থেকে উপজেলা নির্বাচনে দাঁড়াতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে ক্ষেত্রে আপনারা দল থেকে যে নির্দেশ দিচ্ছেন, সেটা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটা দল করি। এখানে সরকারি পদ পাওয়াটা যদি কোনো পরিবারে কেন্দ্রীভূত হয়ে যায়, তখন অন্যান্য নেতাকর্মীরা ভাবেন, তাদের এখানে কোনো ভবিষ্যত নেই। সে কারণে তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করে। আমরা নীতিগত প্রশ্নে এই কথা বলেছি। আইনগত ব্যাপারটা ভিন্ন ব্যাপার। এটা আইনগত কোনো ব্যাপার না, এটা নীতিগত ব্যাপার।

ভারতের চলমান নির্বাচনে বিরোধী দলের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশকে ভারত অনুসরণ করছে, এ সম্পর্কে আপনি কী ভাবছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতে তো অপজিশন (বিরোধী দল) নির্বাচন বর্জন করেনি। তারা ইলেকশনে (নির্বাচন) এসেছে। ইলেকশন নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। বক্তব্য আছে। সমালোচনা আছে কিন্তু তারা ইলেকশন করছে। ওখানে কিন্তু অপজিশন ইলেকশন থেকে দূরে সরে দাঁড়ায়নি। তাহলে আমাদের সঙ্গে মিল কোথায় হলো!

 

;