১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের যত কর্মসূচি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ১৭ই মার্চ (রোববার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার (১৭ই মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে।

এদিন সকাল ৭টায় ধানমন্ডি বত্রিশস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে ক্ষমতসীন দল।

সকাল সাড়ে দশটায় টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।

এছাড়াও মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ও সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে সারাদেশে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

   

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের প্রতিটি লক্ষ্যের সঙ্গেও নিরাপদ খাদ্য গভীরভাবে জড়িত। কিন্তু এসডিজি অর্জনের অন্তরায় অনিরাপদ খাদ্য। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত পারলেই উন্নয়ন টেকসই হবে।

সোমবার (৩ জুন) সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, আইন কিংবা চাপ দিয়ে খাদ্যে ভেজাল নির্মূল করা কঠিন। এ জন্য জনসচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মাঝে, যাতে নিরাপদ খাদ্যের মৌলিক অধিকারের দাবি সামাজিক আন্দোলনে রূপ নেয়।

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল উল্লেখ করে হানিফ আরও বলেন, স্বাস্থ্যই জীবনের সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যের কোনও বিকল্প নেই। কারণ একটি জাতি শুধু অর্থনীতির মানদণ্ডে উন্নত জাতিতে পরিণত হয় না। সেখানে নিরাপদ খাবার এবং সুস্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। টেকসই উন্নয়নের জন্য তাই সবার জন্য নিরাপদ খাবারের সংস্থান করতে হবে। তাই নিজেকে সুস্থ থাকতে হলে ভালো খাবারের পাশাপাশি শরীর চর্চাতেও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জাকারিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কামারুল আরেফীন, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জোবায়ের প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক আবু নুর মো. শাসুজ্জামান।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জাকারিয়া বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে দরকার আন্তঃসংস্থা সমন্বয়। খাদ্যব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের অনেকগুলো সংস্থা কোনো না কোনোভাবে জড়িত। সবগুলো সংস্থাকে এক টেবিলে বসিয়ে কোনো বিষয়ে রাজি করানো খুব জটিল ও সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই ধীরে ধীরে সবার সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে নিরাপদ খাদ্যের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প আয়োজিত এ কর্মশালায় জনপ্রতিনিধি, হোটেল-রেস্তোরা ব্যবসায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

;

সেনাবাহিনী-পুলিশের সম্মান ইজ্জত কোথায় প্রশ্ন ফখরুলের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের সম্মান-ইজ্জত কোথায় রইলো, এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ নজিরবিহীন দুর্নীতি করেছেন। অপরদিকে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকেও যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। সংসদ সদস্য আনারকে কলকাতায় নিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে।

একটা ইনস্টিটিউশন হিসেবে এখন সেনাবাহিনীর অবস্থা কী! সেনাবাহিনীর সম্মান-ইজ্জত কোথায় থাকে, যখন তার সাবেক সেনাপ্রধানকে স্যাংশন দেওয়া হয়! পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা কোথায় থাকে, যার সাবেক প্রধানকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়! এরা (আওয়ামী লীগ সরকার) দেশটাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ সব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। এই সময়টা তৈরি করেছে বর্তমান সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে, জোর করে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে।

এ সরকার ভোট না দেওয়ার কারণ হলো, ভোট দিলে তারা ১০টার বেশি আসন পাবে না। এসরকার বলে, আমরা নাকি ভালো জিনিস দেখতে পারি না! ভালো জিনিস হচ্ছে, তোমাদের (আওয়ামী লীগ) জন্য! তোমরা মেগা প্রজেক্টের নাম দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছো! আজকে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার দলীয় সরকারের অধীনে যে তিনটা নির্বাচন করেছে, এ সব প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, এভাবে বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এর মানে হলো, আওয়ামী লীগ যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তাতে কোনো দলই নির্বাচনে আসে না। ৬৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যায়নি। আজকে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে! আজকে এই সরকার শুধু রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি বরং পুরো দেশটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে!

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এখন সময় এসেছে, আমাদের নিজেদেরকে সংগঠিত করার। আমরা চেষ্টা করছি, জেল খাটছি, আমরা বারবার জেলে যাচ্ছি কিন্তু আমরা এখনো চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি।

এই চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের জন্য আমাদের সংগঠনকে আরো দৃঢ় করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে দূর করে ফেলতে হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে এক জোটে নামতে হবে। কারণ, এটা বিএনপির সমস্যা না, এটা বাংলাদেশের সমস্যা! এটা জাতির সমস্যা!

এই জাতি ভবিষ্যতে টিকবে কি টিকবে না, আপনার ছেলেরা ভবিষ্যতে চাকরি পাবে কি পাবে না, তারা স্বাধীনভাবে চলতে পারবে কি পারবে না, তার পুরোটাই নির্ভর করছে, এই সরকারকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পরাজিত করতে না পারা পর্যন্ত!

বিএনপির মহাসচিব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশে বলেন, তারা চুরি করতে করতে এমন অবস্থা তৈরি করেছে, এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। জিয়ার আহ্বানেই দ্বিধাবিভক্ত জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা সরকার মুছে ফেলতে চায়। আমরা শেখ মুজিবের অবদানকে কখনো অস্বীকার করি না। ৪৩ বছর পরেও জিয়াকে এদেশের মানুষ ভোলেনি। যারা তার অবদানকে অস্বীকার করে, তারা তো দেশের স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করে। কারণ, তিনি তো স্বাধীনতার ঘোষক।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল ড. শাহিদা রফিক প্রমুখ।

;

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে এ কথা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা যেখানেই যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী-স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অযৌক্তিক ও দ্বিচারিতাপূর্ণ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এদেশে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তির গভীর আঁতাত ও সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা তাদের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব করে এবং সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে। স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতির সামাজিক বৈধতা ও স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বরাবরই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিএনপির রাজনীতি এই চক্রেই আবর্তিত। তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিজেদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে এ কথা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা যেখানেই যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে। জামায়াত নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা সুস্পষ্টভাবে অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক। জামায়াতের রাজনীতি বাংলাদেশের মূল চেতনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধের পরিপন্থি। রাজনীতির এ ধারা বার বার দেশবিরোধী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক কখনোই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের আখরে রচিত পবিত্র সংবিধান ও রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনাবিরোধী এই রাজনীতিকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দিতে পারে না। যাদের রাজনীতি দেশের ভিত্তিমূলে আঘাত হানে তাদের কৌশলও কখনো বিজ্ঞানসম্মত বা যৌক্তিক হতে পারে না। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে প্রগতিশীলতার মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখা তার আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে তার বক্তব্যে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার দুরভিসন্ধি প্রকাশিত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের ভিত্তিতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শবিরোধী কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে আওয়ামী লীগ কখনো স্বীকৃতি দেয়নি— ভবিষ্যতেও দেবে না।

;

বেনজির কিভাবে দেশান্তরী হলেন প্রশ্ন জাপা মহাসচিবের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সাবেক আইজিপি কিভাবে ৭০-৮০ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে দেশান্তরী হলেন তাও আবার সপরিবারে প্রকাশ্যে ইমিগ্রেশন দিয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিভাবে বলেন আমরা জানি না।

রোববার (২ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ফরম বিতরণের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, শাসক দলের টাকা, নেতাকর্মীদের দুর্বৃত্তায়ন ও প্রশাসনের দৌরাত্মে অন্য কোন দল টিকে থাকতে পারছে না। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা এত টাকা খরচ করছে তার সামনে অন্য কোন প্রার্থী দাড়ানোর মত সাহস ও ক্ষমতা নেই বলে বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা লুটপাট হয়ে গেছে ব্যাংক খালি। সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ ৪ জন এমপি স্ত্রী কন্যাদের নামে রিক্রুটিং এজেন্সি করে ম্যানপাওয়ার লাইসেন্স করেছেন। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সরকার ৭০-৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে, রিক্রুটিং এজেন্সি ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা নেওয়ার পরও ভুক্তভোগীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে পারে নাই। এই সব রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন বিদ্যুৎ খাতে হরিলুট হচ্ছে উৎপাদন ৮ হাজার মেগাওয়াট, প্রয়োজন ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা দেন ৪৬ হাজার কোটি টাকা, জরিমানা দেওয়ার টাকা আছে কিন্তু বিদ্যুৎ কেনার টাকা নাই।

মহাসচিব আরও বলেন, কোন সেন্ডিকেট সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মানুষ এখন যাবে কোথায়? মানুষ এত কষ্ট সহ্য করতে পারছে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে নি। তাই বিকল্প একটি দল দেশ পরিচালনার জন্য খুজছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর উন্নয়নের কথা স্মরণ করে জিএম কাদের এর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির কথা ভাবছে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঞা। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিনের উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, মোঃ হুমায়ুন খান, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ।

;