বুয়েটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না: গয়েশ্বর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখা এবং মা-বাবার মেধাবী সন্তানরা যারা এখানে লেখাপড়া করে তাদের লেখাপড়ার স্বার্থে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সেখানে রাজনীতি বিরত রাখবে- এটা তাদের সিদ্ধান্ত।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ছাত্ররাজনীতি চাই, আমরাও ছাত্র রাজনীতি করে এই পর্যন্ত এসেছি। ছাত্ররাজনীতি তো বাধা না। শিক্ষাঙ্গনে একটি দলের ছাত্রসংগঠন চাই না। বুয়েটে নৃশংসভাবে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে শুধু ছাত্ররাই না, দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ফুঁসে ওঠে। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন থাকবে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা এখনো বলবৎ আছে কি না, সেই আশঙ্কা আছে কি না সার্বিক দিক বিবেচনা করে বুয়েটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না।

বুয়েটের অবস্থার চেয়েও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও শোচনীয় দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সেখানে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছিল ছাত্রলীগ নেতা মানিক। তার চেয়ে ঘৃণিত আর কী হতে পারে? আসলে তারা কোনো কলঙ্কে কলঙ্কিত না! আমরা যতই তাদের কলঙ্কিত মনে করি, তারা ততো অলংকৃত হয়। তার একটি কারণ পেশীশক্তির ব্যবহার এবং প্রশাসনের দলীয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি ধ্বংস করা।

বিজ্ঞাপন

নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রায়ই আমাদের নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হয়। সারা দেশে ক্ষমতাসীনদের এ নৃশংসতা চলছে। তারপরও বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠ ছেড়ে যায় না। তবে, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও পেশীশক্তি ছাড়া জনবিচ্ছিন্ন সরকারের পক্ষে রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকা সম্ভব নয়।

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে। তার মৃত্যুসংবাদে সারা দেশে কান্নার রোল পড়লেও ক্ষমতাসীনরা খুশি হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।