জিয়া কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, দিনাজপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান তখন কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলছে।

বুধবার (২২ মে) দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সেজন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তাঁর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঘুরে দাঁড়ালাম।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেয়া যাবে না। এদেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬.৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা, সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাবুজ্জামান মিতা। বৈঠকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

   

রাজনীতিবিদরা কী চাঁদা তুলে ভাত খাবে, প্রশ্ন কাদেরের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতিবিদরা কী চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২২ জুন) সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার মাঠ পরিদর্শন করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতি করলে কী ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না? রাজনীতিবিদরা চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে? ব্যবসা করলে তো আপত্তি নেই। সৎ ব্যবসা করলে আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।

আগামীর জন্য আওয়ামী লীগের নতুন বার্তা কী জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বার্তা নতুন কিছু না। আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন। আমরা একদিক থেকে বলতে পারি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, এটা আমাদের অঙ্গীকার।  

অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা, রূপপুর এই কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে। এটাই দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকব, বলেন তিনি। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে ওয়ান ইলেভেনে যেটা দেখেছি দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানো। এ দেশ স্বাধীন করেছে দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদেরা। সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে এবং তারা ব্যর্থ এটা প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেটা বুঝি।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুল ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

;

সাম্প্রদায়িকতা সুসংহতির পথে বাধা হয়ে আছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রদায়িকতা সুসংহতির পথে বাধা হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ স্থল পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অপ্রাপ্তিটা আমরা প্রাপ্তির খাতায় হিসেব করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাপ্তির বিষয়টা রাজনৈতিকভাবে সুসংহত করতে পারিনি। সাম্প্রদায়িকতা সুসংহতির পথে বাধা হয়ে আছে।

তিনি বলেন, ঈদের পর পর রাজধানী ঢাকা যেখানে এখনও অনেকটাই ফাঁকা, সেখানে কিছু কিছু পত্রিকায় দেখা গেছে ৫ কিলোমিটার জুড়ে আনন্দগণ উপস্থিতি ছিল আমাদের আনন্দ শোভাযাত্রায়। আনন্দ শোভাযাত্রার মতই আমাদের ২৩ জুনের সমাবেশেও মানুষের এমন আনন্দগণ উপস্থিতি থাকবে। যেখানে সভাপতিত্ব করবেন আমাদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সবাই প্রস্তুত। শুক্রবার (২১ জুন) থেকে উৎসব আমেজ শুরু হয়েছে। 

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন এ দেশের স্বাধীনতা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জন এ দেশের উন্নয়ন। 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বার্তা হলো নতুন প্রজন্ম এবং নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে, থাকবে। 

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুল ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।  

;

শতাধিক গাড়ি নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শতাধিক গাড়ি নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিখিল

শতাধিক গাড়ি নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিখিল

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন হলো আজ শুক্রবার। ক্ষমতাসীনদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করতে অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক গাড়িতে নেতাকর্মীদের নিয়ে হাজির হোন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিকেলে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনী করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জানা যায়, শুক্রবার বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় সোহরাওয়ার্দীতে। এ শোভাযাত্রায় প্রায় দুই শতাধিক গাড়ী বহর নিয়ে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য যোগ দেন। এমপি নিখিলের আনন্দ শোভাযাত্রাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডী-৩২ নাম্বারে গিয়ে শেষ হয়।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দেওয়ার দাবি গণতন্ত্রী পার্টির



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দেওয়ার দাবি গণতন্ত্রী পার্টির

কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দেওয়ার দাবি গণতন্ত্রী পার্টির

  • Font increase
  • Font Decrease

গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার আরশ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন এক যুক্ত বিবৃতিতে সরকারের প্রতি কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২১ জুন) বিবৃতিতে তারা বলেন, এ বছর ঈদ -উল আজহার কোরবানির বিভিন্ন ধরনের পশুর চামড়ার যুক্তি সংগত মূল্য সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষ সরকারি মূল্য তালিকা দেখে আশায় বুক বেঁধে ছিলেন যে, এবার হয়ত কোরবানি দাতাগণ কাঁচা চামড়ার ন্যায্য মূল্য পাবেন, যা দেশের গরীব-দু:খী মানুষ এবং ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ কাঁচা চামড়ার বিক্রয় মূল্য দ্বারা উপকৃত হবে।

কিন্তু গণতন্ত্রী পার্টি অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছে যে, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের কারণে এ বছর বিক্রেতা পর্যায়ে কাঁচা চামড়ার সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে বিক্রয় হয়েছে। এমনকি নাম মাত্র মূল্য না পাওয়ার কারণে দেশের বহু স্থানে কাঁচা চামড়া মাটির নীচে পুঁতে ফেলছে বলে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।

এই অবস্থায় গণতন্ত্রী পার্টির পূর্বেকার দাবী অনুযায়ী যদি আংশিক কাঁচা চামড়া রপ্তানীর সুযোগ থাকত তাহলেও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হওয়ার কারণে ন্যায্য মূল্যে বা উপযুক্ত মূল্যে কাঁচা চামড়া বিক্রয় হতো। কাজেই দেশের স্বার্থে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির স্বার্থে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দেওয়ার জন্য গণতন্ত্রী পার্টির পক্ষ থেকে সরকারের নিকট জোর দাবী জানানো যাচ্ছে।

;