দুইটি হাতির উপর দুইজন করে চারজন মহুতকে দেখা গেছে৷ দলীয় কোনো নেতাকর্মী হাতির পিঠে না চাপলেও হাতির গায়ে দেখা গেছে দলীয় পোস্টার।
ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের পক্ষ থেকে হাতি দুইটি নিয়ে আসা হয়। হাতির মাথার সামনে দেখা গেছে বাহাউদ্দীন নাছিমের ছবি সম্বলিত পোস্টার। এছাড়া হাতির পিঠে বাধা হয়েছে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি করা বিশাল ব্যানার।
হাতি ছাড়াও সমাবেশের শোভাবর্ধনে ছিলো ব্যান্ড পার্টি, ঢোল, কৃষকের সাজ, বেলুনসহ বিভিন্ন উপকরণ। এছাড়াও নেতাকর্মীদের ঢল ও স্লোগান শোভাযাত্রাকে বর্ণাঢ্য করে তুলেছে।
জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক সদস্য (রুকন) আগে নিজেকে পাল্টাবে তারপর তারা দেশটাকে পাল্টাবে বলে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আল্লাহর সৃষ্টি যা আছে সবগুলোকে সম্মান করতে হবে। মানুষকে মানুষ হিসেবে মনে করবো এবং আমরা তাদের সবাইকে আল্লাহর পথে ডাকবো।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর পাবনা জেলার ষান্মাসিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আমিরে জামায়াত বলেন, আমাদের বিরোধিতা যারা করেন, আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। তারা বিরোধিতা করেন বলেই এই সংগঠনের (জামায়াত) চর্চা হয়। পাবনার একটি ঘরও বাকি থাকবে না, যেখানে আমরা তাওহিদের দাওয়াত পৌঁছাবো না।
তিনি বলেন, বৈষম্য এখনো দূর হয়নি। সাময়িক একটা স্বস্তি এসেছে। আমরা ছোটখাটো সব বৈষম্য দূর করবো ইনশাআল্লাহ। আগস্ট বিপ্লব আমাদের সুদে হুদাইবিয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে এই বাংলাদেশ পাল্টাবে কেউ কল্পনাও করতে পারিনি। যারা বুক পেতে লড়াই করেছে তাদেরকে যেন দ্বীনের জন্য আল্লাহ বকুল করেন।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইকবাল হুসাইনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসেম, সিরাজগঞ্জ জেলা আমির অধ্যক্ষ শাহিনুর আলম, নাটোর জেলা আমির ড. মীর নুরুল ইসলাম ও পাবনা জেলার সাবেক আমির আব্দুর রহিম প্রমুখ।
গণঅভ্যুত্থানে যারা ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের বিচার ছাড়া রাষ্ট্রের সংস্কার সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করেছে। তাদের বিচার ছাড়া রাষ্ট্রের কোনো সংস্কার সম্ভব নয়।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণখানে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘বিভিন্ন দফতরে এখনো হাসিনার দোসররা রয়েছে। যারা হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছেন, তারাই ক্ষমতায় রয়ে গেছেন।’
এসময় তিনি তাদেরকে বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবিও জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ‘যৌক্তিক সময়ে’ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। যৌক্তিক সময়ে কতটুকু এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যৌক্তিক সময়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙা হবে। দেরি করবো না।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় একটি হোটেলে দায়িত্বশীল সমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন জামায়াতের আমির।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আবেগের বশে জাতির প্রত্যাশার বাইরে যেন কাজ না করা হয়। জাতির চেতনাকে তারা যেন ধারণ করেন। ২৪ বিপ্লবের চেতনাকে তারা যেন সম্মান করেন। আবেগবশত দু-একটা কাজ হয়ে যাচ্ছে। এটা হওয়া উচিত নয়।
ভারতনীতি নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ভারতের ব্যাপারে আলাদা করে বলার কিছু নেই। ভারত যেমন একটি দেশ, আমরাও একটি দেশ। ভারত ছাড়াও আমাদের প্রতিবেশী আছে এবং বিশ্বসভায় আরও অনেকগুলো দেশ আছে। বিশ্ব সভার সব সদস্যরা আর আমরা মিলেমিশে পারস্পারিক মর্যাদা ও সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নেব।
দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিভক্তি নয়, ঐক্যই হোক এ জাতির সৌন্দয্য এবং শক্তির প্রতীক।
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার এ দায়িত্বশীল সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির আবুল হাশেম, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাও. আজিজুর রহমান, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাও. মাহবুবুর রহমানসহ প্রমুখ।
নোয়াখালী খাল থেকে কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হারুনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় হুমকির মুখে খালের পাড়। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে খালের পাশের এলাকায় হুমকিতে রয়েছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদল নেতার বালু উত্তোলনের বিষয়টি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নজরে এলে তারা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি/সম্পাদক বরাবর তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। লিখিত অভিযোগ পত্রে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করা হয়।
জানা গেছে, আওয়ামী সরকার পতনের পর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হারুন ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের নলুয়া এলাকার নোয়াখালী খালের অলি মাঝির খেয়া, নজির মিস্ত্রি খেয়া ও বিডিপি বাজারের খাল এলাকায় ৫টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন। বালু বন্ধে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিলে ছাত্রদল নেতা মিজান ফেসবুকে তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যাচার করে।
কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হারুনের অবৈধভাবে বল প্রয়োগের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের নলুয়া এলাকার নোয়াখালী খাল থেকে ৪/৫টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেন। বালু উত্তোলনের কারণে আশেপাশে ভূমি ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাকে বাধা দেয়। বাধা দেওয়ার পর সে জোরপূর্বক ভাবে বালু উত্তোলন করেন। এতে করে সাধারণ জনগণের মাঝে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান হারুনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অনেক অভিযোগ রয়েছে। ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান হারুন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত নন।
কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো.মহসিন রিয়াজ ও সদস্য সচিব মো. ইয়াছিন ফরহাদ বলেন, অভিযুক্ত ছাত্রদলের নেতার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি/সম্পাদককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমাদের জেলা কমিটি বর্তমানে না থাকায় আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি/সম্পাদককে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।