প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে উপস্থিত হয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে মঞ্চে এসে তিনি উপস্থিত হন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে পুরো সমাবেশস্থল মুখরিত করে তুলেন। নেতাকর্মীরা সবাই এক সাথে, এক সুরে ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’,‘আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ’ স্লোগান তুলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন কাজী হুমায়ুন রশীদ মালিকানাধীন কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আড়াইশো-তিনশো লোকের উপস্থিতিতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ এর প্রতিষ্ঠা হয়। যা পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ও দেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে নামকরণ হয়।

সেদিন আওয়ামী লীগের ৪০ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়। যার সভাপতি হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও
সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। তখন শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক থাকলেও তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

সে থেকে ৭৪ বছর শেষ করে আজ ৭৫ বছরে পদার্পণ করেছে দলটি। দিবসটিকে ঘিরে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে।

প্লাটিনাম জুবিলি পালনে ১০ দফা কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে আছে- রোববার (২৩ জুন) সূর্য উদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।

সকাল ৭ টায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন।

একইদিন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন, দুপুর ২ টা ৩০মিনিটে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে। যেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করছেন।

সুস্থ, সচল ঢাকা গড়তে সাইকেল র‍্যালি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাইকেল র‍্যালি/ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাইকেল র‍্যালি/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে সাইকেল র‍্যালি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে মানিক মিয়া এভিনিউর সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেইটের সামনে থেকে এ র‍্যালি শুরু হয়। র‍্যালিটি বিজয় বিজয় স্মরণী, গণভবন হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর গিয়ে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এই সাইকেল র‍্যালীতে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।

;

আ.লীগকে ভারতের সেবা দাস বানানোর চক্রান্ত চলছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ ভারতের বন্ধু বলে সেবা দাস বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সাইকেল র‍্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, পিতার হাতে স্বাধীনতা, কন্যার হাতে মুক্তি। বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের প্রভু আছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। ভারত আমাদের ৭১ এর পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধু কন্যা যা করে বাংলাদেশের স্বার্থে করে। স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা কোনো বন্ধুত্বে আবদ্ধ হয় না।

এই দেশের উন্নয়ন অর্জন আওয়ামী লীগের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তি পেয়েছে। তরুণ সমাজ বেকার, তরুণদের কর্মসংস্থান এর যে অঙ্গীকার তা আমরা পূরণ করবো। আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এই সাইকেল র‍্যালীতে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

;

দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা নিলে শেখ হাসিনা মাহাথিরকে ছাড়িয়ে যাবেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থপাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, যদি এই অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে শেখ হাসিনা মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকেও ছাড়িয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রশ্ন উত্থাপন করে সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, দুর্নীতি না করলে ওই বেনজির, ছাগল কাণ্ডের অফিসাররা কেন আইনকে ভয় পান। দেশ থেকে কেন পালিয়ে যান? তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইদানিং যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটছে আমি বিশ্বাস করি এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ। জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হঠাৎ করে কিছু দুর্নীতিবাজ, সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কিছু কিছু প্রচার-প্রপাগান্ডা হচ্ছে, আমার কেন, সকল মানুষের কাছে এটা সন্দেহ হয়।

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও কাস্টমস কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে কামরুল ইসলাম বলেছেন, যদিও জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই সমস্ত দুর্নীতির কথা হঠাৎ করে উঠে আসছে। তারপরও এ কথা স্বীকার করতেই হবে, যাদের বিরুদ্ধে আজকে অভিযোগ, তারা কেন আইনকে ভয় পায়? আইনকে ভয় পেয়ে বিদেশে কেন চলে যায়? আজ বেনজীর সাহেব, ছাগলকাণ্ডের কর্মকর্তারা কেন আইনকে ভয় পায়? আইনকে ভয় পায় বলে মনে হচ্ছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো সত্য। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ। কিন্তু তারপরও তাদের ভূমিকায় এগুলো সত্য বলে প্রতীয়মান হয়।

সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী টানা চতুর্থবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। আমি বিশ্বাস করি তিনি মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকেও ছাড়িয়ে যাবেন। যদি দুর্নীতি, ট্যাক্স লুটেরা ও অপকর্ম যারা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বিশ্বাস করি আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবার সরকার গঠন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, এখনই সময় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। আমরা রাজনীতি যারা করি, আমাদের লজ্জা হয়, এই সমস্ত লোকদের ব্যাংক লুটেরা বা যারা এসব কাজ করছে তাদের দেখে।

এমপি কামরুল ইসলাম বলেন, আবারও বলতে চাই, বিশ্বের অন্যতম সৎ রাষ্ট্র নায়ক আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের দেশে ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারীরা এবং এই সমস্ত দুর্নীতিবাজরা আমাদের গায়ে চুনকালী মাখাতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যেমনি ভাবে ক্যাসিনো কাণ্ডের বিচার হয়েছিল, তেমনি ভাবে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আজকে যখন আমাদরে প্রধানমন্ত্রী অন্যতম একজন সৎ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিশ্বের সৎ ব্যক্তিদের তালিকায় ১০ জনের মধ্যে তার নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। সেখানে দুর্নীতি যারা করে তাদেরকে কোন ভাবে টলারেন্স করতে পারেন না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, অতীতে বিএনপি কোন সময় তার দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করতে পারেনি, আইনের আওতায় আনতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রমাণ করে দিয়েছে, বিভিন্ন সময় আমাদের মন্ত্রী, এমপিদের পর্যন্ত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। আপনাদের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে, কিছু দিন আগে ক্যাসিনো কাণ্ডে আমাদরে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন, বিচারের আওতায় তাদেরকে আনা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের যে নীতি এটা স্বীকার করতেই হবে, ‘দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স’ নীতি। আামাদের নেতাকর্মীদের কোন ভাবেই আমরা দুর্নীতিতে ছাড় দিচ্ছি না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

দুর্নীতি বিরোধী অভিযান জোরদারের আহ্বান জানিয়ে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অনেক আইন আছে। কিন্তু আইনের দৃশ্যমান বাস্তবায়ন নেই। দুর্নীতিকে বরদাস্ত করলে চলবে না। জনগণ দুর্নীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে আসছেন লৌহ মানবির মতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন। কিন্তু কিছু সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছেন। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা এখনো আমার কানে বাজে, আমার কৃষক দুর্নীতি করে না, আমার মজদুর করে না। দুর্নীতি করে শিক্ষিত সমাজ। বঙ্গবন্ধু কন্যার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স কার্যকর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটকে ইতিবাচক উল্লখে করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, যারা বাজেট বাস্তবায়ন করবেন, তাদেরকে দুর্নীতিমুক্ত রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। এনবিআর, দুদক-এধরণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আস্থাশীল ও স্বচ্ছ না করতে পারলে অগ্রসর হওয়া যাবে না। সরিষার মধ্যে যদি ভুত এসে যায়, তাহলে ভুত তাড়াবেন কি করে? তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কলো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। নিশ্চয়ই এর পিছনে কোন যৌক্তিক কারণ আছে। তবে এর মাধ্যমে যেন দুর্নীতি উৎসাহিত না হয়, সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

স্বতন্ত্র সংসদ সসদস্য আখতারুজ্জামান বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। অর্থমন্ত্রী এ জন্য পরিকল্পনা নিয়েছেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী যে মডেল নিয়েছেন একই মডেল যুক্তরাষ্ট্র অনুসরণ করে পাঁচ বছরেও সফল হয়নি। তিনি অর্থমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আবার সবার আহ্বান জানান।

;

বিচারব্যবস্থা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে: আমীর খসরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আমীর খসরু

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আমীর খসরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিচারব্যবস্থা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে ছয়টি মামলার হাজিরা শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই অভিযোগ করেন।

কয়টা মামলায় হাজিরা আর কী হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মামলা কয়টা ভুলে গেছি, কোনো হিসাব নাই। মামলারও হিসাব নাই, হাজিরারও হিসাব নাই। সুতরাং কয়টা আমি নিজেও জানি না।

এ সময় তিনি পাশে থাকার নেতাকর্মীদেরকে থেকে জিজ্ঞেস করেন বলেন, বেশি না আজকে ৬টা মামলায়।

আমীর খসরু বলেন, একটা দেশের বিচার ব্যবস্থা রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হয়েছে, তার পরিণতি ভোগ করছি আমরা। যারা ভিন্ন পথ ও ভিন্ন মত পোষণ করে, তাদেরকে এই পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে। এটায় ফলাফল আর তো কিছু না।

মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোনটা দ্রুত আর কোনটা ধীরে যাবে এসব কাদের হাতে হাতে সেটা আপনারা তো জানেন। বিচার ব্যবস্থা আজকে কারা নিয়ন্ত্রণ করছে! এটা তো রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সুতরাং যারা ব্যবহার করছে তারাই তো জানে কোনটা ধীরে করবে আর কোনটা ত্বরান্বিত করবে। বিচারব্যবস্থা হিসেবে যে একটা পদ্ধতি থাকে সেগুলা বাংলাদেশে নাই।

সব নেতাকর্মী তো একের পর এক মামলায় হাজিরা দিচ্ছে, এতে আপনাদের হতাশা ধরছে কিনা? এমন প্রশ্নে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, কোনো হতাশা নেই। বাংলাদেশের মানুষ এখন এইভাবে সাফার করতে করতে, এটা শুধু আমাদের নেতা কর্মী বলে নয়। যারা ভিন্ন মত, ভিন্ন দল পোষণ করে সকলে আজ একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সুতরাং এটাকে নিয়েই চলতে হচ্ছে, দেশ ও নাগরিকদের চলতে হচ্ছে। যারা সরকারের সাথে একমত নেই, তাদেরকেও চলতে হচ্ছে। দেখা যাক এটা কতটুকু যায়, আমরা অপেক্ষা করি!

;