দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা নিলে শেখ হাসিনা মাহাথিরকে ছাড়িয়ে যাবেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থপাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, যদি এই অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে শেখ হাসিনা মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকেও ছাড়িয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রশ্ন উত্থাপন করে সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, দুর্নীতি না করলে ওই বেনজির, ছাগল কাণ্ডের অফিসাররা কেন আইনকে ভয় পান। দেশ থেকে কেন পালিয়ে যান? তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইদানিং যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটছে আমি বিশ্বাস করি এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ। জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হঠাৎ করে কিছু দুর্নীতিবাজ, সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কিছু কিছু প্রচার-প্রপাগান্ডা হচ্ছে, আমার কেন, সকল মানুষের কাছে এটা সন্দেহ হয়।

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও কাস্টমস কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে কামরুল ইসলাম বলেছেন, যদিও জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই সমস্ত দুর্নীতির কথা হঠাৎ করে উঠে আসছে। তারপরও এ কথা স্বীকার করতেই হবে, যাদের বিরুদ্ধে আজকে অভিযোগ, তারা কেন আইনকে ভয় পায়? আইনকে ভয় পেয়ে বিদেশে কেন চলে যায়? আজ বেনজীর সাহেব, ছাগলকাণ্ডের কর্মকর্তারা কেন আইনকে ভয় পায়? আইনকে ভয় পায় বলে মনে হচ্ছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো সত্য। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ। কিন্তু তারপরও তাদের ভূমিকায় এগুলো সত্য বলে প্রতীয়মান হয়।

সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী টানা চতুর্থবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। আমি বিশ্বাস করি তিনি মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকেও ছাড়িয়ে যাবেন। যদি দুর্নীতি, ট্যাক্স লুটেরা ও অপকর্ম যারা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বিশ্বাস করি আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবার সরকার গঠন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, এখনই সময় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। আমরা রাজনীতি যারা করি, আমাদের লজ্জা হয়, এই সমস্ত লোকদের ব্যাংক লুটেরা বা যারা এসব কাজ করছে তাদের দেখে।

এমপি কামরুল ইসলাম বলেন, আবারও বলতে চাই, বিশ্বের অন্যতম সৎ রাষ্ট্র নায়ক আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের দেশে ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারীরা এবং এই সমস্ত দুর্নীতিবাজরা আমাদের গায়ে চুনকালী মাখাতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যেমনি ভাবে ক্যাসিনো কাণ্ডের বিচার হয়েছিল, তেমনি ভাবে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আজকে যখন আমাদরে প্রধানমন্ত্রী অন্যতম একজন সৎ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিশ্বের সৎ ব্যক্তিদের তালিকায় ১০ জনের মধ্যে তার নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। সেখানে দুর্নীতি যারা করে তাদেরকে কোন ভাবে টলারেন্স করতে পারেন না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, অতীতে বিএনপি কোন সময় তার দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করতে পারেনি, আইনের আওতায় আনতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রমাণ করে দিয়েছে, বিভিন্ন সময় আমাদের মন্ত্রী, এমপিদের পর্যন্ত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। আপনাদের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে, কিছু দিন আগে ক্যাসিনো কাণ্ডে আমাদরে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন, বিচারের আওতায় তাদেরকে আনা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের যে নীতি এটা স্বীকার করতেই হবে, ‘দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স’ নীতি। আামাদের নেতাকর্মীদের কোন ভাবেই আমরা দুর্নীতিতে ছাড় দিচ্ছি না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

দুর্নীতি বিরোধী অভিযান জোরদারের আহ্বান জানিয়ে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অনেক আইন আছে। কিন্তু আইনের দৃশ্যমান বাস্তবায়ন নেই। দুর্নীতিকে বরদাস্ত করলে চলবে না। জনগণ দুর্নীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে আসছেন লৌহ মানবির মতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন। কিন্তু কিছু সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছেন। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা এখনো আমার কানে বাজে, আমার কৃষক দুর্নীতি করে না, আমার মজদুর করে না। দুর্নীতি করে শিক্ষিত সমাজ। বঙ্গবন্ধু কন্যার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স কার্যকর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটকে ইতিবাচক উল্লখে করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, যারা বাজেট বাস্তবায়ন করবেন, তাদেরকে দুর্নীতিমুক্ত রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। এনবিআর, দুদক-এধরণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আস্থাশীল ও স্বচ্ছ না করতে পারলে অগ্রসর হওয়া যাবে না। সরিষার মধ্যে যদি ভুত এসে যায়, তাহলে ভুত তাড়াবেন কি করে? তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কলো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। নিশ্চয়ই এর পিছনে কোন যৌক্তিক কারণ আছে। তবে এর মাধ্যমে যেন দুর্নীতি উৎসাহিত না হয়, সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

স্বতন্ত্র সংসদ সসদস্য আখতারুজ্জামান বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। অর্থমন্ত্রী এ জন্য পরিকল্পনা নিয়েছেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী যে মডেল নিয়েছেন একই মডেল যুক্তরাষ্ট্র অনুসরণ করে পাঁচ বছরেও সফল হয়নি। তিনি অর্থমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আবার সবার আহ্বান জানান।

বৃক্ষ, মানুষ ও পরিবেশের অকৃত্রিম বন্ধু: সমীর চন্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেছেন, বৃক্ষ পরিবেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বৈশ্বিক জলবায়ূর প্রভাবে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখান থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে গাছ রোপণ। তাই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ঝড়-বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিজেদের বাঁচার জন্য আমাদের ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।

রোববার (৩০ জুন) সকালে মানিকগঞ্জের বেউথা নদীরপাড় ও রাস্তার পাড়ে এক হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়। বৃক্ষরোপণ শেষে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বিজয় মেলার মাঠ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি মানিকগঞ্জের বেউথা নদীপার ও রাস্তাপারে এক সঙ্গে এক হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।

কৃষক লীগের দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. গোলাম মহিউদ্দিন।

উদ্বোধকের বক্তব্যে কৃষক লীগের সভাপতি বলেন, এক গাছ যেমন মানুষকে তার ফল দেয়, ফুল দিয়ে সবিত করে এবং বৃদ্ধ বয়সে তার কাঠ মানুষের জন্য মূল্যবান। গাছ মানুষকে পুষ্টি দেয়, মানুষকে খাদ্য দেয়। গাছ মানুষকে জীবন বাঁচানোর জন্য অক্সিজেন দেয়। বৈশ্বিক জলবায়ূর প্রভাবে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখান থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে গাছ রোপণ। তাই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ঝড়, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিজের বাঁচার জন্য ব্যাপকভাবে শেখ হাসিনার ঘোষিত কর্মসূচি বৃক্ষ রোপণ করার মধ্য দিয়ে পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের জুলাই মাস থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় তার যোগ্য উত্তরাধিকার গর্বের প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ কৃষক লীগকে সাথে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। গত ১৫ জুন কৃষক লীগের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী। এসময় কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণের নিদের্শ দিয়েছেন। তার নিদের্শনার ধারাবাহিকতা কৃষক লীগ ৫২ লক্ষ গাছ লাগানোর অংশ হিসেবে আজ মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা এক হাজার বৃক্ষরোপণ করেছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আপনারা প্রত্যকে তিন মাসে ৫২টি গাছ রোপণ করে কৃষক লীগের ৫২ লক্ষ গাছ রোপণের পরিকল্পনার অঙ্গীকার পূরণ করবেন।"

জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. সমাপ্ত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

সংগঠনের সদস্য সচিব প্রভাষক বুলবুল আহমেদ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আকবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুবেদ কুমার সাহা প্রমুখ।

;

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৩০ জুন) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি এবং তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করারও অভিযোগ তুলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণ বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিএনপি আজ একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এখন তাদের তথাকথিত আন্দোলনের বিষয় দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নিজ বাসায় থেকে দেশের সর্বাধুনিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। সেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মুক্তভাবে এভাবে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের কোনো নজির নেই। কিন্তু বিএনপি গত কয়েক বছর ধরে আইনগত পদ্ধতি ব্যতি রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছে। এমনকী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে উসকানি দিচ্ছে এবং আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে জনগণের কাছ থেকে করুণা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান। খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। সংবিধান ও আইনগত প্রক্রিয়ার বাইরে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মুক্তি দাবি ধৃষ্টতা ছাড়া কিছু নয়। আইনগত প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কোনো সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির দেশ ত্যাগ করার কোনো বিধান নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসাগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। বিএনপি এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, উচ্চ-আদালতে না গিয়ে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপি কখনো আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না এবং চিরাচরিতভাবে আইন, বিচারব্যবস্থা, সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সংবিধান ও আইনের শাসন বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কোনো প্রকার বেআইনি, অযাচিত ও অযৌক্তিক দাবি কোনো গণতান্ত্রিক সরকার মানতে পারে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতীতের মতো আন্দোলনের নামে যে কোনো সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে।

;

আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা সোমবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১ জুলাই) বিকাল ৩টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।

রোববার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম (প্লাটিনাম জয়ন্তী) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছি। সোমবার (১ জুলাই) বিকাল ৩টায় তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

;

সম্মেলনের এক মাস পর রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ, রাঙামাটি
মো. রনি হোসেন ও সোহাগ চাকমা/ছবি: সংগৃহীত

মো. রনি হোসেন ও সোহাগ চাকমা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ নয় বছর পর চলতি বছরের ২৯শে এপ্রিল রাঙামাটিতে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রায় একমাস পরে এক বছর মেয়াদে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (২৯ জুন) রাত পৌনে ১২টার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফাইট আইডিতে কমিটির তালিকা আপলোড করে উল্লেখ করেন, আগামী ০১ (এক) বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখার নিম্নোক্ত কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত তালিকায় মো. রনি হোসেনকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সোহাগ চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে সহ-সভাপতি পদে ৪০ জন, যুগ্ম সম্পাদক পদে ১০ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সহ-সভাপতি: দীপঙ্কর দে, অভি মারমা, মঞ্জুরুল কবির ইমন, খালেদ সাইফুল্ল্যা রুবেল, হাসান মুরাদ, সোহেল চাকমা, তারেক হোসেন মাহিম, বেলাল খান, বনি মাহমুদ, তপন ত্রিপুরা, জাকির হোসাইন, এ কে এম ফজলুল হক সুজন, শাফিন মাহমুদ চৌধুরী প্রিয়, বিজয় বড়–য়া শোভন, মোঃ আশরাফুল হক, আসিফ সালেহ বিন কামাল নোয়েল, মোঃ আব্দুল মোতালেব, ফাতেমা তুজ জোহরা রেশমী, ইউনুস মিয়া, নোবেল চাকমা, ইমাম হাসান, থুই মং চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী মাহিন, আরিফুল ইসলাম মানিক, এ বি এম জোনায়েত, আজাদ আজিম রিমন, মান্না পাল, সাব্বির রহমান, মোঃ শাকিল আহমেদ, সাদমান আহমেদ তামিম, অপু দেবনাথ, মংসুইক্য মারমা (মং), মোঃ পারভেজ, উজ্জ্বল চাকমা, তাজুল ইসলাম রাজু, রুবেল ঘোষ, মিনহাজুর রহমান, মিঠু বড়–য়া, মোঃ রাকিবুর রহমান, বকুল চাকমা।

১০ জনকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তারা হলেন: সাইথোয়াই অং চৌধুরী (সুইথি চৌধুরী), আনোয়ার হোসেন কায়সার, সামশুল আলম, মোঃ সোহেল রানা, এন্টন চাকমা, আসাদুজ্জামান ইফাত, মুন্না দেব, প্রত্যয় চাকমা, মোঃ জুয়েল উদ্দিন, শুভ চৌধুরী।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১০ জন হলেন: নেছার উদ্দিন হৃদয়, বর্ষা চাকমা, তাসকিয়া রহমান, সুজয় চাকমা, আকিব মাহমুদ, মীর মোঃ মোসলেহ উদ্দিন ইমরুজ, অয়ন ত্রিপুরা শুভ, মোঃ নাজমুল হাসান বাপ্পু, মোঃ ইউসুফ হোসেন ও মধু মঙ্গল তঞ্চঙ্গ্যা।

;