চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের সম্মেলন ১৮ সেপ্টেম্বর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা/ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ইউনিট আওয়ামী লীগের অসমাপ্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত করতেই হবে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনগুলো সম্পন্ন করতে হবে। সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও উদ্যোগ গ্রহণের জন্য থানা ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা যদি সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অপারক ও ব্যর্থ হন তাহলে এই কমিটিগুলো বাতিল হিসেবে বিবেচিত হবে।'

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই ঘোষণা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে তৃণমূল স্তরে নেতৃত্ব ঢেলে সাজানোর জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো নেতা যদি ব্যর্থ হন, তার যোগ্যতা ও দক্ষতা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নেতৃত্ব যাচাই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, দক্ষতা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দলীয় আদর্শের প্রতি আনুগত্যের বিষয়সহ সমাজে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মনে রাখতে হবে নেতৃত্ব ও পদ-পদবীতে কোনো অবাঞ্চিত ও জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ কোনো ব্যক্তি যাতে আসীন হতে না পারে, সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দায়ী হতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রামে এবং দল ও জাতির সংকট উত্তরণে সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসু ও কার্যকর অবদান রেখেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি কেন্দ্রের নিদের্শনা অনুযায়ী সাংগঠনিক কার্যক্রম ও বিষয়ভিত্তিক ইস্যুতে সবসময় রাজপথে ছিল এবং বর্তমান নেতৃত্ব অবশ্যই কর্মীবান্ধব হিসেবে সকলের আস্থা অর্জন করেছে। এই আস্থা ও বিশ্বাসকে অবশ্যই ধরে রাখতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে যে নির্ধারিত তারিখ ও সময়সূচি করে দিয়েছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী মহানগর আওয়ামী লীগসহ থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট স্তরে সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা মুখিয়ে আছেন। এসকল সম্মেলনের মাধ্যমেই দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সকলস্তরের নেতাকর্মীকে আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। এই কার্য-পরিধি পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই শতভাগ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে এবং কোনো ধরনের দলীয় আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতা বিরোধী আচরণকে কিছুতেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

আ.জ.ম. নাছির আরও বলেন, আমাদের মধ্যে অবশ্যই নেতৃত্ব ও পদ-পদবীর জন্য প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। আওয়ামী লীগের মতো একটি বিশাল সংগঠনে এই প্রতিযোগিতা থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই বলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার মত কোনো ঘটনা বা আচরণ যাতে না হয় সেদিকেও সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সর্বোপরি কোনোভাবেই যাতে বিভেদ ও অনৈক্যের হানাহানি না ঘটে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাব হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা এ.কে.এম বেলায়েত হোসেন, আলহাজ্ব সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইসহাক, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম এম.পি, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, সম্পাদনা মণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ হাসান মাহমুদ সমশের, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মানষ রক্ষিত, জুবাইরা নার্গিস খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, মাহাবুবুল হক মিয়া, আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য আবুল মুনসুর, নুরুল আবছার মিয়া, সৈয়দ আমিনুল হক, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, আলহাজ্ব দোস্ত মোহাম্মদ, গাজী শফিউল আজিম, কামরুল হাসান বুলু, বখতেয়ার উদ্দিন খান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, আহমদ ইলিয়াস, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিষান চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, মোহাব্বত আলী খান, আবদুল লতিফ টিপু, নেছার উদ্দিন মঞ্জু, মোহাম্মদ জাবেদ, হাজী বেলাল আহমদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ।

নিজেরা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ কম: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা সৎ থাকলে এখানে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ কম। আমরা কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি চাই না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যে ইস্যুতে আন্দোলন করছে এটাতো সরকারের সিদ্ধান্ত না, আদালত রায় দিয়েছেন। এটা আদালতের এখতিয়ার।

তিনি আরও বলেন, আমরা তো এ সিদ্ধান্ত দেইনি। দিয়েছেন আদালত। তারপরও আমাদের দেশের ব্যাপার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।

শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে কখন বৈঠক করব, সেটা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্পদের হিসাব দিতে পারে, এটা দেওয়া উচিৎ। এখানে আপত্তি কোথায়? আমি যদি সৎভাবে কাজ করি দিতে আপত্তি কী?

;

শাহাদাত-বক্করের বিদায়, চট্টগ্রামে বিএনপির নেতৃত্বে নতুন মুখ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরা
বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নতুন আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান।

বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নতুন আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান।

  • Font increase
  • Font Decrease

আভাস মিলেছিল আগেই। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি হলো। প্রায় ৮ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছেন সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। এই দুই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে।

রোববার (৭ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কমিটির কথা জানানো হয়েছে।

২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করে ৩৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃবৃন্দকে দ্রুততম সময়ে নগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের অক্টোবরে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে এসে কেন্দ্রের নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়। গত ১৩ জুন সেই আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলে অনেকেই দুই পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন।

অবশ্য একটা পক্ষ চেয়েছিল শাহাদাত-বক্করের হাতেই থাকুক নগর বিএনপির নেতৃত্ব। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলায় পাশে থাকার কারণে চট্টগ্রামে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগ ওঠেনি নিকট অতীতে। তবে আরেকটা পক্ষ বছরের পর বছর আহ্বাবায়ক কমিটি থাকতে পারে না-বিষয়টি সামনে এনে জোর তদবির চালিয়ে যান। শাহাদাত-বিরোধী কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি পক্ষ এরশাদ উল্লাহ ও নাজিমুর রহমানকে বসাতে চেষ্টা চালিয়ে যান। এর মধ্যে এরশাদ উল্লাহ পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করে তার শক্তিও দেখান। শেষ পর্যন্ত সেই দুই নেতার কাঁধেই উঠল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভার।

২০১৬ সালের ৬ আগস্ট ডা. শাহাদাতকে সভাপতি ও আবুল হাশেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়, যা পরের বছর ১০ জুলাই ২৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এরও আগে ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সভাপতি এবং ডা. শাহাদাত হোসেন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নগর বিএনপির। তবে প্রায় ১৪ বছর নগর বিএনপির শীর্ষ পদে দায়িত্ব থাকা শাহাদাত হোসেনকে এবার বিদায় নিতে হলো। শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় কোনো পদে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে আবুল হাশেম বক্করের ভাগ্যে কি ঘটছে-তা এখনো জানা যায়নি।

;

‘ক্ষমতার মোহে আ. লীগ জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করেছে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ক্ষমতার মোহে আওয়ামী লীগ জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করে দিয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) নগরের টাউনহলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শ্রমিক দলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশে সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম বাংলাদেশি শ্রমিক ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি নিজেকে শ্রমিক হিসেবে গর্ববোধ করতেন। শ্রমিকরা সেই শ্রেণির মানুষ যারা হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে। শ্রমিকরা সেই মানুষ যারা সৃষ্টি করে জন্ম দেয় সবকিছু। এদেশে খাদ্য উৎপাদন করে শ্রমিকরা। কাপড় উৎপাদন করে বস্ত্রকলের শ্রমিকরা।

তিনি বলেন, তারেক রহমানকে মিথ্যা দণ্ড দিয়ে দেশের বাইরে থাকতে বাধ্য করা হলো। তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এত দূর থেকে বসে তিনি ক্রমাগত দিনরাত কাজ করছেন। ইতিহাসে প্রথম এবারই তিনি তার নেতৃত্বে ডানপন্থী বামপন্থী, কমিউনিস্ট পার্টি, ইসলামিক দল সব একত্রে হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে নির্বাচনে না যাওয়ার জনগণ নির্বাচনে যায় নাই। সেই নেতাকে আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। জাতীয় সংসদে একজন মাত্র শ্রমিক নেতা এমপি আর সংসদে সদ্যদের সত্তর ভাগ হয় শিল্পপতি না হয় ব্যবসায়ী। শতকরা আশি ভাগ কোটিপতি। এই অবস্থা চলতে থাকলে এই সংসদ সরকারের কাছ থেকে কোন সুবিধা পাওয়ার আশা নাই। কেন এই রকম হচ্ছে? কারণ এই সরকারের ভোটের দরকার হয় না। যদি আমাদের ভোটের দরকার হতো, আমরা এমন লোককে ভোট দিতাম যে আমার পক্ষে কথা বলবে, যে আমার পক্ষে কাজ করবে।

আমরা খুব আশা নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলাম, দেশে গণতন্ত্র থাকবে, এদেশে সুশাসন থাকবে, বৈষম্যের অবসান হবে, মানবিক মর্যাদা থাকবে, যেটা পাকিস্তানে ছিল না। আমরা সম্মানিত নাগরিক হিসেবে জীবনযাপন করবো, যেটা পাকিস্তানে পারি নাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ক্ষমতার মোহে আজকে যারা ক্ষমতাসীন তারা আমাদের সব আকাঙ্খাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই। এদেশে ভোট হয় না। আজকে দেশে বৈষম্য বেড়েছে। ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টে বলে জনসংখ্যার হারে বিবেচনা করলে বাংলাদেশে প্রতিবছর যত কোটিপতি তৈরি হয় বিশ্বের আর কোন দেশে এত কোটিপতি হয় না, বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে যাচ্ছে। একদিকে হাতেগোনা কিছু মানুষ অনেক অনেক সম্পত্তির মালিক হয়ে যাচ্ছে, আরেকদিকে কোটি কোটি মানুষ আরও দরিদ্র হয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এরকম বৈষম্য বাড়ানোর জন্য তো আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করি নাই। আজকে আমরা যারা হালাল রোজগার করি আমাদের সংসার চলে না। সাত কোটিরও বেশি আমরা শ্রমিক-কর্মচারী। কিন্তু আমাদের গুরুত্ব নাই।

তিনি শ্রমিকদলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা কিভাবে বিএনপিকে সহযোগিতা করতে পারি এবং তার মধ্যে কোন বাঁধা থাকলে কিভাবে দূর করতে পারি। শ্রমিকদলের শক্তি কিভাবে আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব এই কর্মশালায় আমাদের আলোচনা করতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোকেন বাবলু, শ্রমিক দলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহা।

;

শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিলের আন্দোলন সঠিক পথেই চলছে: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
বিএনপি'র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপি'র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি'র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ছাত্র ছিলাম। লেখাপড়া করেছি। আমার বন্ধুরা যথারীতি চাকরি করছে। কোটার কথা কখনো শুনি নাই। কার জন্য কোটা এবং কিসের জন্য কোটা। যে লেখাপড়া ভালো করবে, সে এগিয়ে যাবে এবং চাকরি পাবে। কাজেই শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিলের আন্দোলন সঠিক পথেই চলছে।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মানিকগঞ্জ ল' কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

মির্জা আব্বাস বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা ভিত্তিতে চাকরির বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরি দেওয়া যাবে না। কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে চাকরি হতে হবে। না হলে এই দেশ মেধাশূন্য হয়ে যাবে। দেশের অফিসগুলোতে মেধাশূন্য মাথাবাহী অফিসার হবে। এই দেশ ভালোভাবে চলতে পারবে না। সুতরাং ছাত্রদের আন্দোলন ভুল পথে নয়, সঠিক পথেই চলছে।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, লুটেরা, বাটপার অনায়াসে মুক্তি পেয়ে যায়। হাজী সেলিমের মতো লোক মুক্তি পেয়ে যায়। বেনজিরের মতো লোক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোনো অপরাধ নাই, তিনি নিরপরাধ। তাই কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আনতে হবে।

মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবিরের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ অনেকেই।

;