সাতক্ষীরায় কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম কাগুজিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সরল কুমার বিশ্বাস।

নিহত কাশেম স্থানীয় মৃত নেছার আলী কাগুজির ছেলে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সরল কুমার বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবার সোয়া ১২টার দিকে নিজ বাড়ির সন্নিকটে খোলপেটুয়া গ্রামের মাছের ঘেরে অবস্থানকালে আবুল কাশেম কাগুজি (৪৫)-কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘের কর্মচারীদের খবরে পরিবারের লোকজন ও পুলিশ সেখানে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা করা হয়নি। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

কাশেম কাগুজির ছেলে আবু হুরাইরা জানান, গাবুরা এলাকাটি অত্যন্ত সন্ত্রাসপ্রবণ জনপদ। এখানে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ লেগেই থাকে। তার বাবা অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির। তাকে যারা হত্যা করেছে সেসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন তিনি।

কৃষক লীগের শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম খোকন বলেন, আবুল কাশেম কাগুজি কৃষক লীগের গাবুরা ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক। সংগঠন ও দলের নিবেদিত নেতা ছিলেন কাশেম। রাতের কোনো এক সময়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে কাশেমকে। গাবুরার খোলপেটুয়া তথা ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাটিকে অত্যন্ত সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ফের অসুস্থ খালেদা জিয়া, নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অসুস্থতা বেড়ে গেলে সোমবার (৮ জুলাই) ভোররাতে তাঁকে ওই হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ডাক্তারের বরাত দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি আরও বলেছেন, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে জরুরিভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে গত ২৫ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের প্রধান লক্ষ্য বিরোধীদের কারাগারে পাঠানো : মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধী নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আদালতকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়াসহ জামিন নামঞ্জুর করে এ কাজটি করছে সরকার। রবিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

পিরোজপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মারুফ হাসানের জামিন নামঞ্জুর ও কারান্তরীণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি দেন তিনি।

মারুফের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনভিত্তি নেই বলেই ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরো বেশি বেসামাল ও জুলুমবাজ হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীর ওপর তীব্র মাত্রায় দমন-পীড়ন শুরু করেছে তারা। মারুফ হাসানের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা সেটিরই ধারাবাহিকতা।’

তিনি আরো বলেন, ‘জনগণ এবং বিরোধী নেতাকর্মীর ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে সরকার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে ভোগ করার যে স্বপ্ন দেখছে, তা জনগণ কখনোই পূরণ হতে দেবে না।’

;

কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক আন্দোলন। সংবিধানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, চাকরিতে কোটা পদ্ধতি হচ্ছে সংবিধান পরিপন্থি।

রোববার (৭ জুলাই) গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করা হয়েছিলো, এখন তা ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি করা হয়েছে। এটা নিয়ে বহু কন্ট্রোভার্সি আছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে করো বয়স ছিলো ২ থেকে ৩ বছর আবার কারো জন্মই হয়নি তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। অনেকের মুক্তিযুদ্ধে অবদান নিয়ে সন্দেহ আছে। আবার অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিন্তু তারা বিভিন্ন কারণে তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই জীবন দিয়েছেন কিন্তু শিক্ষা ও রাজনৈতিক সচেতনতার কারণে তারা তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। যেখানে একজন চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত তাকে বঞ্চিত করে অন্যকে চাকরি দেওয়াটা স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

তিনি বলেন, বাঙালিরা বৃটিশ আমলেও বৈষম্যের শিকার হয়েছিলো। বৈষম্য থেকে বাঁচতেই তারা পাকিস্তান আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়েছিলো। পরবর্তীতে পাকিস্তানিরাও বাঙালিদের সাথে বৈষ্যম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই প্রথমে শুরু হলো স্বাধিকার আন্দোলন এবং পবরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম শুধু বৈষম্য থেকেই বাঁচতে। স্বপ্ন ছিলো আমাদের একটি দেশ হবে, আমাদের দেশ হবে বৈষম্যহীন। যেখানে নির্যাতন- নিপীড়ন থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, বৈষম্য সৃষ্টি করতেই বাংলাকে পাকিস্তানিরা রাষ্ট্রভাষা করতে চায়নি। ভাষার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো তারা। উদ্দেশ্য ছিলো বাঙালিরা যেনো সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকে। এই বৈষম্যের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেই আমাদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ৫২’র ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাণ দিয়ে ছিলেন আমাদের ভাইয়েরা। বৈষম্যহীন এবং ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ গড়তেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিলো। এমন অবস্থায় চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সাংঘর্ষিক অবস্থা সৃষ্টি করে। সংবিধানে সাম্যের কারণে কিছু মানুষকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সুযোগ দেয়ার কথা আছে। যারা পিছিয়ে আছে, তারা যেনো এগিয়ে যেতে পারে। পিছিয়ে পড়াদের কতটুকু সহায়তা দেওয়া হবে তাও সংবিধানে বলা আছে।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বৃটিশরা ডিভাইড এন্ড রুল করে আমাদের নির্যাতন করেছে। বৃটিশদের হয়ে আমাদের দেশের সৈন্যরা এবং প্রশাসকরাই আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে। আমাদের দেশের রাজা-মহারাজারা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে বৃটিশদের হয়ে। এখন একটি শাসক শ্রেণি তৈরি হয়েছে। তারা সুবিধাবাদি গোষ্ঠী তৈরি করতেই অনুপযুক্তদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপযুক্তদের বিত্তশালী করা হচ্ছে। তারা যেনো সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। কারণ, অনুপযুক্তরা জানে এই চাকরি বা সম্মানের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই সরকারের অনুগত হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক। বিচারাধীন বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না, তবে ফিলোসফিটি আমি বলেছি। সাধারণ মানুষের ধারণা লাঠিয়াল বাহিনী সৃষ্টি করতেই অনুপযুক্ত লোকদের শক্তিশালী করে বৃটিশ ও পাকিস্তানিদের মত অত্যাচার চালানোর অপচেষ্টা চলছে। বৃটিশ ও পাকিস্তানিদের মতই বর্তমান সরকার ডিভাইড এন্ড রুল চালু করেছে। কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে কারো অধিকার বঞ্চিত করা অন্যায়। যে পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে তাকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই। যে বঞ্চিত হবে তার মা-বাবাও বঞ্চিত হলো। তাদের উত্তরাধিকারও বঞ্চিত হবে এই পদ্ধতিতে।

;

নিজেরা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ কম: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা সৎ থাকলে এখানে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ কম। আমরা কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি চাই না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যে ইস্যুতে আন্দোলন করছে এটাতো সরকারের সিদ্ধান্ত না, আদালত রায় দিয়েছেন। এটা আদালতের এখতিয়ার।

তিনি আরও বলেন, আমরা তো এ সিদ্ধান্ত দেইনি। দিয়েছেন আদালত। তারপরও আমাদের দেশের ব্যাপার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।

শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে কখন বৈঠক করব, সেটা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্পদের হিসাব দিতে পারে, এটা দেওয়া উচিৎ। এখানে আপত্তি কোথায়? আমি যদি সৎভাবে কাজ করি দিতে আপত্তি কী?

;