সাংবাদিকের উপর হামলা, আ.লীগ নেতা রাসেলকে শোকজের নির্দেশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আ.লীগ নেতা মাহমুদুল আসাদ রাসেল

আ.লীগ নেতা মাহমুদুল আসাদ রাসেল

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার রফিকুল ইসলামকে মারধর ঘটনায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (মাস্তান) মাহমুদুল আসাদ রাসেলকে শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মহানগর উত্তর-দক্ষিণের যৌথসবার আগে দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে শোকজ করার নির্দেশ দেন তিনি। সাংবাদিকের উপর হামলা করার এ-সময় দুঃখ প্রকাশও করেন ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহের কাজে যান রফিকুল ইসলাম। এ সময় তার (সাংবাদিকের) উপর অতর্কিত হামলা করে রাসেল এবং তার সঙ্গে থাকা ক্যাডার বাহিনীর কয়েকজন সদস্যরা। উপর্যুপরি কিল-ঘুষি দিতে থাকে তারা৷ পরে আওয়ামী লীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা এগিয়ে আসার পরে রাসেল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সরে পড়েন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা এ ঘটনায় তিব্র প্রতিবাদ জানান।

উল্লেখ্য, মাহমুদুল আসাদ রাসেল রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হলেও বসবাস করেন ঢাকায়। সার্বক্ষণিক অবস্থান করে আওয়ামী লীগ অফিসে। দলের এক সিনিয়র নেতাকে দেন বিশেষ প্রটোকল। ওই নেতার ছত্র-ছায়ায় গড়ে তুলেছেন ‘বিশেষ প্রটোকল’ বাহিনী। এই বাহিনীর মাধ্যমে চলে ‘মাস্তানি’।

বিজ্ঞাপন

রাসেলের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্য, পদ বাণিজ্য, কুইন সাপ্লাই, পার্টি অফিসে আগত নেতাকর্মী ও কার্যালয়ে কর্মরতরাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

এক সময় ছাত্রদল করা রাসেল এখন বড় আওয়ামী লীগার। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রটোকল দিয়ে বাগিয়ে নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ। নেতাদের প্রটোকল আর নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি তুলে দরিদ্র পরিবারের রাসেল গড়েছে অঢেল সম্পত্তি।