পুলিশের নাম ও পোশাক পরিবর্তনের প্রস্তাব গণফোরামের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে পুলিশ বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন করার প্রস্তাব দিয়েছে গণফোরাম (মন্টু অংশ)। একই সঙ্গে বাহিনীকে দ্রুত পুনর্গঠনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার কথা বলছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। দেশের ছাত্র জনতার রক্তস্নাত বিজয় সুসংহত রাখা ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলনের  আয়োজন করে দলটি।

বিজ্ঞাপন

সেখানে দলের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধ করেনি। বিগত সরকার মুক্তিযোদ্ধারা যা চায় না তাই করেছে। সরকার কোটা ব্যবস্থা করে মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্কিত করেছে।

কোটা আন্দোলনে আবু সাঈদসহ যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণ করে মন্টু বলেন, যেভাবে নূর হোসেন কে হত্যা করা হয় সেভাবে আবুসাইদ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বুক পেতে দিয়ে  শহীদ  হয়েছে।  জাতির সংকটময় মুহূর্তে ছাত্র সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, বৈষম্য, দুঃশাসন, অন্যায়-অবিচার, নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছাত্র জনতার যে রক্তস্নাত বিজয় তা সুসংহত রাখতে হবে। কোটা পদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলন ছাত্র সমাজের একটি যৌক্তিক ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যমুক্ত ও মেধা ভিত্তিক দেশ গঠনের লক্ষ্যেই এই আন্দোলন গড়ে উঠে। পরবর্তীতে ছাত্রদের সংগ্রামের সাথে শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনতা সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দানবীয় স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে দীর্ঘ দুঃশাসনের অভিশাপ থেকে সমগ্র জাতি অভিশাপ মুক্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার এই বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়। একদল দুষ্কৃতিকারী ছাত্র জনতার বিজয়ে কালিমা লেপনের ষড়যন্ত্র করছে। দুষ্কৃতিকারীদের বর্বরতা ও হীনস্বার্থ ঠেকাতে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও উপাসনালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিকাণ্ড, নানা জায়গায় চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ বন্ধে বিশেষভাবে ছাত্র সমাজ ও জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।

 এ সময় গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর দেশকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ৭টি প্রস্তাব পেশ করে গণফোরাম। প্রস্তাব গুলো হলো- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে; শহীদ পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করতে হবে; অবিলম্বে জাতীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করতে হবে; বিচারবিভাগ সহ প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজাতে হবে।

পুলিশ বাহিনীর নাম ও পোশাক পরিবর্তন সহ উক্ত বাহিনীকে দ্রুত পুনর্গঠন করে সক্রিয় করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, পশাপাশি সকল ছাত্রাবাস খুলে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে; বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শেখ হাসিনাকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং গণহত্যার সাথে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ পেটোয়াবাহিনীর সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।