সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: অলি আহমেদ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কর্নেল অলি আহমেদ। ছবি- বার্তা২৪.কম

কর্নেল অলি আহমেদ। ছবি- বার্তা২৪.কম

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৮৩ দফা দাবি জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমেদ বলেন, সংস্কার হবার আগে নির্বাচন হওয়া কোনো অবস্থাতেই বাঞ্ছনীয় নয়।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.  মোহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনটা হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও দেশের জন্য ভালো। কিন্তু সংস্কার হবার আগে নির্বাচন হওয়া কোনো অবস্থাতেই বাঞ্ছনীয় নয়। সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। দেশের মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে।

অলী আহমেদ বলেন, যারা হাসিনার পদলেহী ছিল তারা এখনো চাকরিচ্যুত হয় নাই, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কোনো তদন্ত শুরু হয় নাই, একজন লোককে শুধু এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বদলি করলে সমস্যার সমাধান হবে না। যারা প্রকৃত পক্ষে দোষী, দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু তাদের কে জেলে ঢুকাতে হবে, কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই এই দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

এখনো মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কালকেও লুটেরাদের গাড়িগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেয়ার জন্য সাহায্য করেছে। শুধু পদচ্যুতিই যথেষ্ট নয়, এদেরকে ধরিয়ে দিতে হবে, পুলিশে দিতে হবে।

লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, নাগরিক হিসেবে আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। আমরা শুধু রাজনৈতিকভাবে সুন্দর সুন্দর বক্তব্য রাখবো, মন্ত্রী হবো, এমপি হবো এটা না। মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছি, মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে। মনুষ্যত্ব যতদিন ফিরিয়ে না আসে ততদিন বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে না। আমাদের লক্ষ্য একটাই, একটা সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করা।

আমরা মুক্তিযোদ্ধা, আমরা ভারতীয় রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়ে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ না উল্লেখ করে দেশের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, আমরা যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছি। সুতরাং এই দেশের মানুষের জন্য আমাদের চেয়ে বেশি প্রেম আর কারো থাকতে পারে না। অবশ্যই কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। আমরা বলেছি, আমাদের থেকে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।

তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ইউনিপরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা। সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করলে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তার নিজ নিজ দল ও সংগঠন নিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। হঠাৎ করে ঘোষণা করলে হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত রাখার একমাত্র কৌশল হলো নির্বাচনের একটি ফোরকাস্ট দিয়ে দেয়া। এটা ৬ মাস পরেও হতে পারে, ৯ মাস পরেও হতে পারে।