দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে: জয়নুল আবদিন ফারুক
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য বলেছেন, বাংলাদেশের সংস্কার করেন, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ আবার বাংলাদেশের রাজনীতি করে বাংলাদেশের সংবিধান, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে যাতে না দিতে পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এদের কাছে টাকা আছে, অস্ত্র আছে। এরা দুর্নীতিবাজ। আওয়ামী লীগের কাছে সবচেয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র আছে, এদের ধরে আনতে হবে। এই অস্ত্র যদি উদ্ধার করে আনতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশে আপনাদের পক্ষে নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন ছাত্রজনতাকে গণহত্যাসহ সকল অপকর্মের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তৃনমূল নাগরিক আন্দোলন। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফারুক বলেন,আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো স্ব-পদে বহাল আছে। এদের পদচারণ বন্ধ করতে হবে। এরা আমাকে-আপনাকে অধিকার বঞ্চিত করেছে। এরা বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহচরদের সহযোগিতা করেছে। এরা তারা, যারা বাংলাদেশের সংবিধান নষ্ট করেছে। এরা তারা, যাদের পক্ষে রায় হয়নি বলে হাইকোর্টের সামনে ময়লা ফেলেছে, এজলাসে লাথি মেরেছে। এরা তারা, যারা আমার ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে। এরা তারা, যারা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। এরা তারা, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিকল্পিতভাবে তৈরি করে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছে। এরা এখনো আপনাদের আশপাশে ঘুরছে।
তিনি আরও বলেন, এমন একটি নির্বাচন হোক, যে নির্বাচনে বাংলাদেশে হাসিনা যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, সেই ইতিহাস আর যেনো পুনরুজ্জীবিত না হয়। সংবিধান রক্ষা করতে হবে, বাংলাদেশে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব আল্লাহর পর ড. ইউনূসের।
এসময় কেন বেনজির, আজিজকে আইনের আওতায় আনা হলো না প্রশ্ন করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পাশ্বর্বর্তী দেশে পালিয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, যদি বিচার বিভাগ চায়, তাহলে হাসিনাকে আনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আমরা যাওয়া-টাওয়া বুঝি না। একটাই বুঝি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতেই হবে।
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ. ক. ম মোজাম্মেল, বিলকিস ইসলাম প্রমুখ।