সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনকে গুরুত্ব দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্য তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার সংস্কারের মধ্য দিয়ে অতিদ্রুত একটি নির্বাচনে যাবে। নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু যার মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা যাবে। সেখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে একটি মহল।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এমন কথা বলছেন যেগুলো সামগ্রিক ঐক্য'র জন্য উপযুক্ত নয়। এটা একটা সমস্যা। আমরা জানি এই প্রশাসন এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সবার মাঝে ঐক্য ধরে রাখা, ধৈর্য ধারণ করা। সরকারের সমস্ত কাজকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। শিল্প কারখানায় যারা অস্তিরতা তৈরি করছে তারা কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসর। এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নাটক বলে তিনি বলেন, আপনারা অতি সম্প্রতি দেখেছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়ে তা পুরোটাই বাকোয়াজ। ওই সময় ভারতীয় সাংবাদিকেরা এসেছিল। এই ধরনের কিছুই তারা পায়নি। যেটা ঘটেছে সেটা রাজনৈতিক।

সব সংস্কার কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করবে নাকি পরবর্তী সরকার করবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে আগেও বলছি এখনো বলছি নির্বাচনকালীন যে সংস্কার প্রয়োজন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী- এইগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। আর অন্যান্য সংস্কার নির্বাচিত সরকার করতে পারবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত নির্বাচনকে। কারণ একটা নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করতে দু'মাস সময় লাগার কথা না।

বিএনপি-আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিত অপপ্রচারণা। যারা ফায়দা লুটতে চাই তারা এমন প্রচারণা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কোন গণতান্ত্রিক দল নয়। বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রকে জীবন্ত করার একটি দল। কারণ ১৯৭৫ সালে বিএনপি একদলীয় গণতন্ত্রকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে রূপান্তর করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০২৩ সালে পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনে ১৫৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী শহীদ হন। গুম হন ৭০০ জন। দেড় লাখ মামলায় আসামি করা হয় ৬০ লাখ নেতাকর্মীকে। যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন।