বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, হাইকমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার ক্লিনটন পবকে (Clinton Pobke), পলিটিক্যাল সেক্রেটারি মিস এনা পিটারসন ও হাই কমিশনের রাজনৈতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপক সুজিত সরকার।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু বিএনপি চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে গুরুত্বের সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশকে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রীয় সংস্কার করা অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রতিটি সেক্টরে সংস্কার করা সম্ভব নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন আয়োজন করাসহ নানা বিষয়ে আমাদের মতামতগুলো জানানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জেলে রাখার উদ্দেশ্যে মামলা দেয়া হয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারাবিশ্ব যেখানে নোবেলবিজয়ী মানুষকে পুরস্কার দিয়েছে। সেখানে স্বৈরাচার হাসিনা তাকে সম্মান না দিয়ে জেলে রাখার পাঁয়তারা করেছে। তাকে সুদখোর বলে আখ্যায়িত করেছে। কারণ তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ডাকবাংলো মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় এসব বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সাথে গাদ্দারি করেছে, বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। সাধারণ মানুষদের গুম, খুন করে তারা সীমালঙ্ঘন করেছে। তারা শান্তিতে নেই, ঘুমাতে পারে না। আমরা ঠিকই ঘুমাতে পারছি।

অন্তর্বর্তীন সরকার জঞ্জাল পরিষ্কার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নতুন একটি সূর্যোদয়ের মাধ্যমে একটি স্বপ্ন তৈরী হয়েছে। এটি হল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। বিদেশে লুটের টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে ব্যাংক খেকো ও ঘুষ গ্রহণ কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সুন্দর একটি মাঠ তৈরী করতে হবে। তখন কাদের সাহেবকে বলব আসেন খেলা হবে।

এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ জেলা-উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানান। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরুর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খেলাফত নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সব সেক্টরে স্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষায় দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। স্বৈরাচার সরকারের আমলে হওয়া সব খুনের বিচার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে। দেশের বাইরে বসে শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় করতে হবে।

বৈঠকে আশা প্রকাশ করা হয়, রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য যে কমিশনগুলো গঠিত হয়েছে, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদন করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন আয়োজন করবে আমরা প্রত্যাশা করছি। দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দল এক্ষেত্রে সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, মো. জিল্লুর রহমান, এডভোকেট মো. শায়খুল ইসলাম, আলহাজ্ব আবু আদিবা, আলহাজ্ব নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন ও মাওলানা মুহাম্মদ আজিজুল হক প্রমুখ।

জাতীয়তাবাদী যুবদল সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিনকে সভাপতি ও মকসুদ আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে যুবদল সিলেট জেলা শাখার ২৯১ সদস্য এবং ও শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেককে সভাপতি ও মির্জা মোহাম্মদ সম্রাট হোসেন সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর শাখায় ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

যুবদলের দফতর সম্পাদক নূরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতিক্রমে কেন্দ্রীয় দফতর সেল থেকে এ কমিটি প্রকাশ করা হলো।