দেশের সংস্কারের পাশাপাশি রাজনীতিবিদদের সংস্কার হতে হবে
সব কিছু সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সংস্কার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটি কোন সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে দি মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত 'জনগণের প্রত্যাশাঃ অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ' শীর্ষক দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের মূল হলো ভিন্নমত, এটি না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না। এটি কিন্তু '৭২ সালেও হরণ করা হয়েছিল। ৫ আগস্টের দিন সরকার পালিয়ে যাওয়া কিন্তু দেশের জন্য সুখকর নয়, ভিন্নমত হরণের ফলে কিন্তু তার অবস্থা এমন হয়েছে। ভিন্নমত দমন না করলে রাষ্ট্র পরিচালনায় কোন সমস্যা হয় না, এটা আমি মনে করি।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে অবস্থায় আছি, এই সময়ে আইন নিয়ে কথা বললে, এটি অবান্তর। ডকট্রিন অব নেসেসিটি (Doctrine of Necessity) একটি আইনগত নীতি, যা সংকটের পরিস্থিতিতে আইন বা নিয়মের প্রয়োগ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অনুমতি দেয়। এর মানে হল, যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা কাজ করা জরুরি হয় এবং সাধারণ আইন অনুসরণ করা সম্ভব নয়, তখন সেই পরিস্থিতিতে বিশেষ অনুমতি দিয়ে আইন প্রয়োগ করা হতে পারে। এটি সাধারণত সরকারি বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে জরুরি অবস্থায় আইনগত বাধা অতিক্রম করতে হয়। এ সরকার ব্যর্থ হলে দেশের জন্য সামনে বিপদ অপেক্ষা করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা এখন একটি পর্যায়ে এসেছি, সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তাদেরকে (অন্তর্বতী সরকার) যৌক্তিক সময় দিতে হবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মনে রাখতে এই সময় কিন্তু সীমাহীন নয়। কোন কোন সংস্কার প্রয়োজনীয় এটা সরকারকে বুঝতে হবে।
দি মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান এডভোকেট রোখসানা খন্দকারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ইউট্যাবের সভাপতি এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয়তাবাদী গনতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাইদ খান, মাসুদ কামাল, মেজর (অব.) জামাল আহমেদ, গনঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, কানাডা প্রবাসী হুমায়ুন খান প্রমুখ।