সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান: ভারতকে দুদু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ভারত আমাদের বন্ধু। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তারা আমাদের সাহায্য করেছে। সেই ভারত একজন গণহত্যাকারীকে, অর্থ লোপাটকারীকে কোনো কাগজপত্র ছাড়াই আশ্রয় দিবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। সময় থাকতে তাকে ফেরত পাঠান।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে গণহত্যাকারী খুনি শেখ হাসিনার ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাঙালি জাতি বীরের জাতি, এই জাতি যদি একবার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে কি হবে ৫ আগস্ট প্রমাণ হয়েছে। ভারত আমাদের বন্ধু এটা আমরা মনে করি। কিন্তু অন্যায়কারীকে যদি তারা আশ্রয় দেয় তাহলে তাকে ছিনিয়ে আনতে এ দেশবাসী একটুও পরোয়া করবে না। সেটা তাদেরকে মনে রাখতে হবে।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্রের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। গণতন্ত্রের লড়াই তখনই শেষ হবে যখন এ দেশের সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারবে। তারা তাদের অধিকার ফিরে পাবে।

বিজ্ঞাপন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকার ছাত্র-জনতা আন্দোলনের নিহতদের সাহায্য দিয়েছে, তার জন্য এ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ হয়েছে। আরো ভালো কাজ হবে যারা গত ১৬ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ হয়েছে আহত হয়েছে তাদেরকে সাহায্য করলে।

কৃষকদলের সাবেক এই আহবায়ক বলেন, এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, ৭১ সালে রক্ত দিয়েছে। সেই গণতন্ত্র আমরা বারবার হারিয়েছি। এখন একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য আমি এই সরকারের প্রধান ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ও উপদেষ্টাদেরকে আহ্বান জানাবো বেশি সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। দেশবাসীকে পরীক্ষায় ফেলা ঠিক হবে না। দেশবাসীর অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। গত ১৬ বছর তারা ভোট দিতে পারে নাই। এখনও যদি দিতে না পারে তাহলে সেটা দুঃখজনক হবে। এটা ঠিক হবে না।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব প্রিন্স, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টি জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ারসহ প্রমুখ।