বাংলাদেশে আ.লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: মেজর হাফিজ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেজর হাফিজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

মেজর হাফিজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ। 

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ (সিএসআরবি) আয়োজিত 'বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পুনর্গঠন ও জন মালিকানা' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এত রক্তপাত, ত্যাগ তিতিক্ষার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হলো এদের অধিকাংশরই বিপ্লবী চরিত্র নেই। প্রফেসর ইউনূস থেকে শুরু করে কেউ বিপ্লবে অংশগ্রহণ করে নাই, শুধু আসিফ নজরুলকে দেখেছি। আর কারাভোগ করেছেন আদিলুর রহমান খান, এই দুইজনকে ধরে নিতে পারি সরকারের বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদে তারা ছিলেন।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বলেছেন, রাজনীতিবিদদের একটা বড় অংশ দুর্নীতিবাজ এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কয়েকটা নির্বাচন হলে পরিশীলিত হয়ে যাবে তারা।  যারা এই দেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, যারা দেশে রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে, যারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশু হত্যা করেছে, যারা রাজপথে সাধারণ মানুষকে গুলি করে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের মধ্যে থেকে উঠে আসা একটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচন এলেই দেখবেন এই দলের জনপ্রিয়তা আছে কী নেই। তবে রাষ্ট্র সংস্কার করার নিশ্চয়ই প্রয়োজন আছে। এই দেশের সরকারগুলো কেন একের পর এক জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়?

তিনি আরও বলেন, একজন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার মনে হয় যে, আমাদের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে দুর্নীতি শিকড় গেঁড়ে বসেছে। ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি দমন করতে আমরা যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারি না। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিস্টেম বাংলাদেশে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হোক, রাষ্ট্রপতি হোক, যেই হোক; ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতি করলে তাকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এমন শক্তিশালী হতে হবে দুর্নীতি দমন কমিশনকে। এই ধরনের ব্যবস্থা আমাদের সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করতে হবে।

মেজর হাফিজ বলেন, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আমরা এখন আর এই রাষ্ট্রের মালিক নই। আমরা হলাম দাস। মালিক হলো যারা ক্ষমতায় যায়, ভোটের মাধ্যমে বা বিনা ভোটে, যেভাবেই হোক। 

এসময় দ্রুত নির্বাচনের কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে ৩১ দফা দিয়েছি তার মধ্যে থেকে ছয়টি দফা এই সরকার গ্রহণ করেছে, ছয়টি কমিশন করেছে। আমরা আশা করব কমিশনগুলোর মাধ্যমে তারা বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার করতে পারবে। তবে দীর্ঘ সময় নিবেন না। সংস্কার করতে ১০-২০ বছর লাগাবেন না। অতি অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন।