অন্তর্বর্তী সরকারের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকতে হবে: নুর
অন্তর্বর্তী সরকারের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকতে হবে, কোনো ফাঁকফোকর থাকা চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষা সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে এনেছি, আমরা সমর্থন দিয়েছি, আমরা এই সরকাকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই।
বিরাজনীতিকরণের শঙ্কা এই সরকারে কেন আসল প্রশ্ন রেখে সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, কিছু শঙ্কা নিশ্চয় আছে। নিশ্চয়ই কোনো আলাপ আলোচনা হচ্ছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা একটি রাজনীতি। এই সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের একটা রূপরেখা দিয়ে কার্যকর সরকারের যে দাবি জানাচ্ছি এটা সম্ভব। কিন্তু শুধু নির্দিষ্ট কিছু অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে সেটা সম্ভব নয়।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিজেদের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে সরকারের কাঠামো বৃদ্ধি করে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকারে রূপান্তর করা। শিক্ষকসহ অন্যান্য শ্রেণি পেশার মানুষের দাবি আমলে নেয়ার দাবি জানাবেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশে বেতন, সুযোগ সুবিধা ও সম্মানের দিক দিয়ে শিক্ষকরাই সবচেয়ে পিছিয়ে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, অন্যান্য সরকারের কর্মচারীদের অনেক ধরনের সুবিধা থাকে। যিনি বিসিএস দিয়ে সর্বপ্রথম ম্যাজিস্ট্রেট হন একটা উপজেলায় তার যে গুরুত্ব, একজন কলেজের অধ্যাপক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সে গুরুত্বটা নাই। এটাই সমাজের বাস্তবতা, এটা সত্য।
প্রাইমারি, হাইস্কুল, কলেজ হোক সব ধরনের শিক্ষকদের অবশ্যই প্রথম শ্রেণির চাকরিতে উন্নীত করতে হবে। যিনি ৯ম গ্রেডে চাকরিতে জয়েন করেন তার সর্বসাকুল্যে বেতন ৩৫ হাজার টাকার মতো, আপনারা শিক্ষক, আপনাদেরকেও যদি ৯ম গ্রেডে উন্নীত করে ৩৫ হাজার টাকা দেয়া হয় তাহলেও বর্তমান বাস্তবতায় এই সমাজে মর্যাদার সঙ্গে টিকে থাকা যায় না।